Posts

Showing posts from June, 2021

ইসলামে ধ্যান-মোরাকাবা

Image
ইসলামে ধ্যান-মোরাকাবা-মেডিটেশন ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্বইসলাম হল সাধনা, আত্মশুদ্ধি সহ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সেবার ধর্ম। এর চিরায়ত ঐতিহ্য ও অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মুরাকাবা, তাফাক্কুর বা ধ্যান। যুগে যুগে নবী-রসূল, অলি-বুযুর্গ ও সাধকগণ এই ধ্যান-মোরাকাবা প্রক্রিয়ায় নিমগ্ন হয়ে আসছেন। হয়রত ইব্রাহীম (আঃ) এর মনে যখন প্রশ্ন জাগল কে আমার স্রষ্ট্রা তখন তিনি ধ্যান-সাধনায় নিমগ্র হলেন অবশেষে তিনি আল্লাহ পরিচয় লাভ করলেন। রাসূলুল্লাহ (স) হেরা গুহায় ১৫ বছর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। ধ্যানের স্থরে জিব্রাইল (আ.) তার কাছে ওহী নিয়ে আসেন। হযরত মুসা (আ.) সিনাই উপত্যাকায় ধ্যানরত থাকতেন। ধ্যান-মুরাকাবার গুরত্ব সম্পর্কে সূরা আলে-ইমরানের ১৯০-১৯১ আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, “নিশ্চই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিন-রাত্রীর আবর্তনে জ্ঞানীদের জন্য নির্দেশন রয়েছে। তারা দাড়িয়ে, বসে বা শায়িত অবস্থায় আল্লাহ স্মরণ করে,তারা আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিরহস্য নিয়ে ধ্যানে(তাফাক্কুর) নিমগ্ন হন এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালন! তুমি এসব নিরর্থক সৃষ্টি কর নি”। উক্ত আয়াতে “তাফাক্কুর” মানে হল গভীর ধ্যান,ইংরেজীতে মেডিটেশন বা কনটেমপ্লেশন। মোরাকাবা প্রসঙ্গে ...

রাসূল(ﷺ)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের ফজিলত

Image
 রাসূল(ﷺ)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের ফজিলত হুজুর পূরনুর (ﷺ)-এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারতের ফযীলত।  ★১. সাধারণত মহামান্য নবীগণের (’আলাইহিমুস সলাতু ওয়াস সালাম) সমাধিকে “রওজা শরীফ”, সম্মানিত ওলী আল্লাহগণের (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহুম) সমাধিকে “মাজার শরীফ” এবং সাধারণ মুসলমানের সমাধিকে আরবিতে “কবর” (قبر) বলা হয়। ফার্সী “রওজা” শব্দটি আরবি “রাওদ্বাহ” (روضة) থেকে এসেছে – যার অর্থ বাগান, তৃণভূমি, উদ্যান ইত্যাদি। আর আরবি “মাজার” (مزار) শব্দটির অর্থ জিয়ারত বা পরিদর্শনের জায়গা।মাজার একটি আরবী শব্দ,যা এখন শুধু বাংলাতেই ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ফারসী দরগাহ শব্দের প্রতিশব্দ।এর ধাতুগত অর্থ ‘যিয়ারতের স্থান’। মাজার বলতে সাধারণত আওলিয়া-দরবেশগণের সমাধিস্থলকে বুঝায়। এখন মনে একটি প্রশ্ন হতে পারে যে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)-এর দাফনস্থল বা কবরকে রওজা বলা হয় কেন?? ভুল বুঝবেন না; বর্তমানে কিছু জালিম, মালাউন, মুনাফিক,আহলে শয়তান নবিজীর রওজামোবারক কে কবর বলতে বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছে কেননা তারা রওজা মানতে রাজি না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন রওজা বলা হয়? মূলত রওজা শব্দের অর্থ বাগান। এখানে রওজা বা বাগান দ্বারা ...

"আল্লাহর সাথে প্রেম "

Image
(সূফীবাদে বিশ্বাসীদের জন্য) সূফীদের মতে, আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ক হচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক। মানুষ হচ্ছে প্রেমিক আর আল্লাহ হচ্ছেন প্ৰেমাস্পদ । প্ৰেমাস্পদের নিকট পৌঁছতে প্রেমিকের কষ্ট হয় । কুরআন বলে : ‘আল্লাহ পর্যন্ত পৌছতে মানুষদেরকে কষ্ট স্বীকার করতে হবে । অতঃপর তারা আল্লাহর সাথে মিলিত হতে পারবে ।” কঠোর সাধনা দ্বারা আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সূফী- সাধক ঐশী-জ্ঞান বা মারেফাত অর্জন করে । এরপর আল্লাহর সাথে মিলনের জন্য সে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। তখন মৃত্যু এ মিলনের জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় । মৃত্যু হলেই প্রেমিক প্ৰেমাস্পদের সাথে গিয়ে মিলিত হতে পারে । প্ৰেমাস্পদ আল্লাহর হাকীকত উপলব্ধির জন্য সাধককে পাঁচটি মোকাম বা আলমের জ্ঞানার্জন করতে হয় । এ আলমগুলো হচ্ছে : (১) আলম-ই-নাসুত (২) আলম-ই-মালাকুত (৩) আলম-ই-জাবারুত (৪) আলম-ই-লাহুত এবং (৫) আলম-ই-হাহুত”* (১) আলম-ই-নাসুত এ পার্থিব জগতকে আলম-ই-নাসুত বলা হয় । আলম-ই- আজসাম বা জড় জগত ও আলম-ই হাইওয়ান বা জীব জগত নিয়ে আলম-ই-নাসুত । এ স্তর সৃষ্টির সর্বনিম্ন স্তর । আল্লাহর আনুগত্যের প্রকৃত পরিচয় এ স্তরে ঘটে। সাধকের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এ জগতের স্বরূপ ও মর্য...