ইসলামে ধ্যান-মোরাকাবা


ইসলামে ধ্যান-মোরাকাবা-মেডিটেশন ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্বইসলাম হল সাধনা, আত্মশুদ্ধি সহ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সেবার ধর্ম। এর চিরায়ত ঐতিহ্য ও অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মুরাকাবা, তাফাক্কুর বা ধ্যান। যুগে যুগে নবী-রসূল, অলি-বুযুর্গ ও সাধকগণ এই ধ্যান-মোরাকাবা প্রক্রিয়ায় নিমগ্ন হয়ে আসছেন। হয়রত ইব্রাহীম (আঃ) এর মনে যখন প্রশ্ন জাগল কে আমার স্রষ্ট্রা তখন তিনি ধ্যান-সাধনায় নিমগ্র হলেন অবশেষে তিনি আল্লাহ পরিচয় লাভ করলেন। রাসূলুল্লাহ (স) হেরা গুহায় ১৫ বছর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। ধ্যানের স্থরে জিব্রাইল (আ.) তার কাছে ওহী নিয়ে আসেন। হযরত মুসা (আ.) সিনাই উপত্যাকায় ধ্যানরত থাকতেন। ধ্যান-মুরাকাবার গুরত্ব সম্পর্কে সূরা আলে-ইমরানের ১৯০-১৯১ আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, “নিশ্চই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিন-রাত্রীর আবর্তনে জ্ঞানীদের জন্য নির্দেশন রয়েছে। তারা দাড়িয়ে, বসে বা শায়িত অবস্থায় আল্লাহ স্মরণ করে,তারা আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিরহস্য নিয়ে ধ্যানে(তাফাক্কুর) নিমগ্ন হন এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালন! তুমি এসব নিরর্থক সৃষ্টি কর নি”। উক্ত আয়াতে “তাফাক্কুর” মানে হল গভীর ধ্যান,ইংরেজীতে মেডিটেশন বা কনটেমপ্লেশন।

মোরাকাবা প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন, “তারাই তত্ত্বজ্ঞানী, যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহ্কে স্বরণ করে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টির বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা বা মোরাকাবা করে।” (সূরা আলে ইমরান ৩ : আয়াত ১৯১)
জীব-জগৎ ও মুক্তির পথ অনুসন্ধান লাভের জন্য এই গভীর মনোনিবেশ এই আত্মনিমগ্নতার নির্দেশ আল্লাহপাক কোরআনের একাধিক জায়গায় দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, “কেন তোমরা ধ্যান বা গভীর মনোনিবেশ সহকারে চন্তিা-ভাবনা কর না?”,এমনকি নবীজী (স) কে আল্লাহপাক বলেছেন, “অতএব (তুমি দৃঢ়তার সাথে কাজ কর আর) যখনই অবসর পাও প্রতিপালকের কাছে একান্ত ভাবে নিমগ্ন হও” (কোরআন,সূরাঃ ইনশিরাহঃ ৭-৮)

পবিত্র হাদীসসমূহ :
হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, “যখন [আল্লাহর পক্ষ থেকে হযরত রাসুল (সা.)-এর নিকট] সত্যের বাণী (ওহি) আসলো, সে সময় রাসুল (সা.) হেরা গুহায় ছিলেন।”

  • হযরত আবু হুরায়রাহ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, “এক ঘন্টা মোরাকাবা করা ষাট বছরের ইবাদতের চেয়েও উত্তম।” (তাফসীরে দুররে মানছুর- ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪১০)
  • অন্যত্র আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, “এক ঘণ্টা মোরাকাবা করা, সত্তর বছরের ইবাদত বন্দেগি করার চেয়ে উত্তম।” (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা ২৪)
  • হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, “রাত ও দিনের পরিবর্তনকারী আল্লাহ্কে নিয়ে এক ঘন্টা মোরাকাবা করা আশি বছরের ইবাদতের চেয়েও উত্তম।” (তাফসীরে দুররে মানছুর- ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১০)
  • আল্লাহর রাসুল (সা.) আরও এরশাদ করেন, “এক ঘন্টা সময় মোরাকাবা করা এক হাজার বছরের চেয়েও উত্তম।” (সিররুল আসরার, পৃষ্ঠা ২৪)
রাসূলুল্লাহ (স.) কারো উপর কিছু চাপিয়ে দেন নি। ধ্যানের গুরত্ব সম্পর্কে বলেন, (হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত) নবীজী (স) বলেন, “সৃষ্টি সম্পর্কে এক ঘন্টার ধ্যান ৭০ বছর নফল ইবাদতের চেয়ে উত্তম” (মেশকাত শরীফ)। হয়রত ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত, নবীজী (স) বলেন, ''এক ঘন্টার ধ্যান (তাফাক্কুর) সারা বছরের ইবাদতের চেয়ে উত্তম''।

ধ্যানের বহুমুখী গুরত্বের তাগিদে মহাপুরুষ, অলি-আওলিয়াগণ ধ্যানে নিমগ্ন হয়েছেন। ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) এ ধ্যান-চর্চার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হযরত মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি (রহঃ) যিনি বিশেষ পদ্ধতির মোরাকাবার উদ্ভাবক। একদা তিনি গোলাপ বাগানে ধ্যানমগ্ন ছিলেন। নব্যবিবাহিত এক দম্পতি বৃদ্ধ সাধকে বাগানে দেখে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে বলে, এ বৃদ্ধ বাগানে চোখ বন্ধ করে কি করছে?। মাওলানা রুমি বলেন, আমি চোখ বন্ধ করে যা দেখি,যদি তুমরা তা দেখতে আমি তো মাঝে মাঝে চোখ খুলি,তুমরা তাও খুলতে না।

নবীজী (স) ধ্যানচর্চা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড.তারিক রামাদান তার ''The Messenger: The Meaning of Mohammad'' বইতে বলেছেন, ''He did not demand his companions he worship fasting and meditation that he exacted of himself'', অর্থাৎ ''তিনি যেভাবে ইবাদত করতেন রোজা রাখতেন এবং মেডিটেশন (ধ্যান) করতেন,তিনি তার অনুসারীদের উপর কঠোরভাবে চাপিয়ে দিতে চান নি''। তিনি অনুগমারীদের ব্যাপারে নরম ছিলেন।

মুরাকাবা বা ধ্যান কি? যুগে যুগে ধ্যানের ধরন বা প্রক্রিয়া ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে তবে ধ্যান হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অস্থির ক্বালব বা মনকে স্থির ও প্রশান্ত করা হয়, মনকে দিয়ে বড় কিছু করানোর প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া। ধ্যান মনকে নফস বা প্রবৃত্তির শৃংখল মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং তাকওয়াবান হতে সহায়তা করে। ঠান্ডা মাথায় অবচেতন মনের শক্তিকে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করে নিজের ও পরের কল্যাণ করা যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, মানুষের ৭৫% রোগ হচ্ছে মনোদৈহিক বা সাইকোসোমাটিক এসব রোগ বা অসুখ মনের জট খুলে ফেললেই নিরাময় লাভ সম্ভব। এ ক্ষেত্রে বুখারী শরীফের একটি হাদিস বিশেষ উল্লেখযোগ্য নবীজী (স) বলেন, “ক্বালব বা মন ভাল থাকলে দেহ ভাল থাকে আর যখন তা খারাপ অসুস্থ হয়ে যায়”। মনকে পবিত্র, জটমুক্ত রোগমুক্তি করার অবচেতন প্রক্রিয়াই হল ধ্যান বা মেডিটেশন।

ধ্যান মনকে প্রশান্ত করে, উপলব্ধি দান করে এবং ধ্যান-দোয়ায় একাকার হয়ে বহুমত্রিক প্রাপ্তি ঘটে। বর্তমান পন্যদাসত্ব ও টেনশনের যুগে মেডিটেশন খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে।
মিশরীয় ত্রয়োদশ শতাব্দির সূফি ইবনে আতাউল্লাহ (র.) ভাষায়ঃ

''ধ্যান হৃদয়ের বাতি,
এটি নিভে গেলে,
হৃদয়ে আলো থাকে না''।

বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তুাবিদ আল্লামা ড.এম.শমসের আলী বলেন, “মোরাকাবা, তাফাক্কুর,ধ্যান, মেডিটেশন এটা ইসলামের উল্লেখযোগ্য পদ্ধতি। যেমন,নামাজ মুসলমানদের দৈনন্দি এ ফরজ ইবাদতটি আসলে ধ্যান ও যোগাাসনের একটি যুগপৎ উপযোগিতা। আমরা নামাজ পড়ি যখন নামাজ পড়ি, দুনিয়ার সকল কোলাহল থেকে দূরে সরে গিয়ে নিবিষ্ঠচিত্তে স্রষ্ট্রার কাছে আত্মনিবেদন করি। হয়তো স্রষ্ট্রাকে দেখছি না শুনছি না কিন্তু তিনি আমাকে দেখছেন, আমাকে শুনছেন এই যে, নিবিষ্ঠচিত্তে কল্পনা, একাগ্রচিত্ততা এটাইতো ধ্যান”।

নবীজী (স) বলেন, “একাগ্রচিত্ততা (হুদরিল ক্বালব) ছাড়া নামাজ আল্লাহ গ্রহণ করেন না” (বায়হাকি শরীফ),
হযরত আলী (রা) কি গভীর ধ্যাননিমগ্নতায় নামাজ পড়তেন তা একটি ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয়। একদা হযরত আলী (রা)-র পায়ে তীর বিধলো। প্রচন্ড ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। কয়েকজন সাহাবী তীর খুলতে উদ্যত হলেন। কিন্তু তীরে হাত দিলেই আলী (রা) চিৎকার করে উঠেন ব্যাথায়। সবাই রসূল (স) এর কাছে গেলে, তিনি বলেন আলী (রা) যখন নামাজে সেজদায় থাকবে তখন তীরটা খুলে নিও। কারণ নামাজে সে এত নিমগ্ন্ থাকবে যে, সে ব্যাথা কিছুই টের পাবে না। তা-ই হলো। আলী (রা) নামাজে দাঁড়ালেন। তীর খুলে ফেললেন সাহাবীরা তিনি টেরই পেলেন না।

আন্তর্জাতিক বরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ড. ইউসুফ আল-কারযাভী যিনি আল-জাজিরা টেলিভিশনের ‘শরিয়া এন্ড লাইফ’ অনুষ্ঠানের সরাসরি কোরআন ও জীবন সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর ও ফতোয়া প্রদান করেন, তিনি ধ্যানের নানামুখী উপকারীতা বর্ণনা করে বলেন, “ধ্যান উচ্চস্থরের ইবাদত”। বর্তমানে ধ্যান-মেডিটেশনের বহুমাত্রিক কার্যকারী উপকারীতা যেমন: শারীরিক, মানসিক, ধর্মীয়, আত্মিক দিক চিন্তা করে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যে মেডিটেশনের ব্যাপক চর্চা ও গবেষনা চলছে। টাইমস পত্রিকা ধ্যানকে সায়েন্স বা বিজ্ঞান বলেও আখ্যায়িত করেছেন।

ইসলামে তাফাক্কুর-ধ্যানের সাথে আত্মশুদ্ধি ও সংশোধনের এবং নিরাসক্ত হওয়ার ব্যাপারে কোরআন-হাদিসে তাগিদ দেয়া হয়েছে।আল্লাহতালা বলেন, “অতএব যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করেছে যে-ই সকল আর যে নিজেকে কুলষিত করেছে সেই ব্যর্থ” (কোরআনঃ ৯১:৯-১০)।

সূরা আ’লার ১৪-১৫ আয়াতে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চই যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে, সবসময় প্রতিপালকের কথা স্মরণ কর, নামাজ কায়েম করে, সে ব্যক্তি সুখী ও সফল।

আল্লাহ বলেন, “যে সীমা লঙ্ঘন করেন পার্থিব জীবনের লোভ-লালসাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, জাহান্নামই তার নিবাস” (কোরআন,সূরাঃ নাজিয়াত : ৩৭-৩৯)

আল্লাহপাক আরো বলেন, “যারা শুধু পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দেয় তার বিপথগামী (কোরআন,সূরা :ইব্রাহিম : ৩) ।

নবীজি (স.) বলেন, “পার্থিব বস্তু প্রতি আসক্তি-ই সকল পাপের মূল” (দারেমি)। রাসুলুল্লাহ (স) আরো বলেন, “প্রবৃত্তির শৃঙ্খল থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টাই উত্তম জেহাদ” (দারেমি)।

নবীজী(স.) সমগ্র জীবনে আমরা সহজ-সরল আলোকিত পথে আত্মশুদ্ধি ও আত্মপর্যালোচনার বিভিন্ন নজির পাই। সূরা ফাতিহার ৫-৭ আয়াতে বলা হয়েছে, “(প্রভু হে!) তোমার প্রিয়জনদের সহজ-সরল আলোকিত পথে আমাদের পরিচালিত কর। (প্রভু হে!) বিভ্রান্ত ও অভিশপ্তদের অন্দকার গহবর থেকে তুমি আমাদের রক্ষা কর (আমিন) ।

আত্মশুদ্ধি পথে বাধা-সমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমত,ক্বালব বা মনের বিষ যেমনঃ রাগ, ক্ষোভ, ঘৃণা, ঈষা, হিংসা, অহং, আমনতহীনতা, গীবত বা পরর্চ্চা, মিথ্যা, হতাশা, অপবাদ, কু-চিন্তা ইত্যাদি অপরটি মনের বাঘ, যেমনঃ না শুকরিয়া বা নেতিবাচকতা ও অমূলক ভয়-ভীতি বা তাকওয়াহীনতা।

আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ক্বালব পবিত্র ও আলোকিত হয়। ইমাম গাজ্জালী (রহ) দীর্ঘ্য ১০ বছর নির্জনবাসের মাধ্যমে উপলব্ধি করেছিলেন,আত্মশুদ্ধি ও ধ্যান-মোশাহেদার পথেই মুক্তি।শরিয়তের সাথে সাধনাকে সংম্পৃক্ত করে তিনি ইসলামী জীবনদৃষ্টিতে পূর্ণজাগরন ঘটান। পরবর্তী প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সাধন-দার্শনিক ও সর্বস্থরের মানুষ তার আত্মশুদ্ধির দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়, তার সাহসী ও উপলব্ধি জ্ঞানগর্ভ লেখনীর মাধ্যমে।Author: Kamrul Hasan Nirjon [ Sun Mar 09, 2014 11:32 am ]Post subject: Re: ইসলামে ধ্যান-মোরাকাবা-মেডিটেশন ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্বমেডিটেশনের উপর অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি লিখা পড়লাম। যদিও শ্রদ্ধেয় গুরুজী তাঁর বিভিন্না ওয়ার্কশপে এই সব বিষয়ের উপর বিষদ আলোচনা করেছিলেন, যা আমাদের মনে এখনো গেঁথে রয়েছে তার মধ্যে আপনার এই লিখাটি সেটিকে আরও গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে মেডিটেশনের প্রতি আরও মনযোগ বৃদ্ধি পেল। অনেক ধন্যবাদ এই চমৎকার লিখাটির জন্যে।Author: mohammad ali [ Mon Mar 10, 2014 7:46 pm ]Post subject: Re: ইসলামে ধ্যান-মোরাকাবা-মেডিটেশন ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্বমুজাহিদ মসি ভাইকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে। শ্রদ্ধেয় গুরুজীর বিভিন্ন আলোচনার সারাংশ আপনি চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন ।

Quote:

নবীজী (স) ধ্যানচর্চা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড.তারিক রামাদান তার ''The Messenger: The Meaning of Mohammad'' বইতে বলেছেন, ''He did not demand his companions he worship fasting and meditation that he exacted of himself'', অর্থাৎ ''তিনি যেভাবে ইবাদত করতেন রোজা রাখতেন এবং মেডিটেশন (ধ্যান) করতেন,তিনি তার অনুসারীদের উপর কঠোরভাবে চাপিয়ে দিতে চান নি''। তিনি অনুগমারীদের ব্যাপারে নরম ছিলেন।


একটু সংশোধনী রয়েছে Tariq Ramadan এর বইটির নাম The Messenger: The Meanings of the Life of Muhammad ।




(In the Footsteps of the Prophet: Lessons from the Life of Muhammad. এ 111 pg এ)

Quote:

His Companions and his wives saw him pray for hours during the night, away from the others, alone with the whispered prayers and invocations that nurtured his dialogue with the One. `A’ishah, his wife, was impressed and surprised: “Don’t you take on too much (worship) while God has al ready forgiven all your past and future sins?” The Prophet answered: “How could I but be a thankful servant? (Al-Bukhari and Muslim)। He did not demand of his Companions the worship, fasting, and meditations that he exacted of himself.On the contrary, he required that they ease their burden and avoid excess

Comments

Popular posts from this blog

ছেমা ই দালালাত

ইউসুফে ছানি গাউছুল আজম ছৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাজান কেবলা রহঃ জীবনী দর্পণ।

কোরআন সুন্নার আলোকে পীর ও মুরিদ।