Posts

মাওলানা রশিদ আহমদ শাহ নঈমী আল-মাইজভান্ডারী (রাহ:) জীবন ও কর্ম।

Image
 মাওলানা রশিদ আহমদ শাহ নঈমী  আল-মাইজভান্ডারী (রাহ:) জীবন ও কর্ম। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন যুগে যুগে পথহারা মানুষের পথ প্রদর্শনের জন্য অসংখ্য নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআন মজীদে কতেক নবী-রাসুলের বর্ননা রয়েছে আরো অনেকের নাম কুরআন মজীদে নেই। হযরত আদম (আ.) এর মাধ্যমে নবী আগমনের ধারা সূচীত হয়ে আখেরী নবী সাইয়্যেদুল মুরসালিন হযরত মুহম্মদ (দ.) এর মাধ্যমে নবুয়্যতের ধারা পরিসমাপ্তি ঘটে। বর্তমানে পথহারা মানুষের হেদায়েতের জন্য নবীর উত্তরাধীকারি হিসেবে আউলিয়ায়ে কেরাম দায়িত্ব পালন করবেন। হাদীস শরীফে আছে, নবীজি(দ.) এরশাদ করেছেন, ‌‌‌আমার উম্মতের হক্বানী আলেমগণ বনী ইসরাইলের নবীগনের তুল্য। বনী ইসরাইলের অনেক নবীগন যত কাজ করেনি আখেরী রাসুল (দ.) এর উম্মতের আলেমগন অধিক মানুষের পথের দিশা দান করবেন। এখানে হযরত নূহ (আ.) ঘটনা প্রনিধানযোগ্য। ইতিহাসে রয়েছে নূহ নবী নয়শত বছর হেদায়েত করে শুধুমাত্র ৮০ জন মানুষকে হেদায়েতের পথে এনেছেন তৎমধ্যে চল্লিশজন নারী ও চল্লিশজন পুরুষ। আউলিয়া কেরামের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া, শেখপাড়া গ্রামে হযরত জয়নুদ্দীন মিয়াজী (রহ:) ঘর...

বুর্যগব্যাক্তিকে হাত ও পায়ে চুম্বন!

Image
 কদমবুচী করা খাছ সুন্নত। কদম অর্থ পা,এবং বুছি শব্দের অর্থ চুম্বন করা ! অর্থাৎ দ্বীনদ্বার পরহেজগার,সম্মানিত ব্যক্তি, পিতা-মাতা ইত্যাদি তাদের পায়ে চুম্বন দেয়াকে শরীয়তে কদমবুছী বলে।এই কদমবুছী খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। হযরত ছাহাবয়ে কি রাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কদমবুছী করেছেন , আবার এক ছাহাবী অন্য ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার কদমবুছী করেছেন !! এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীস শরীফ বর্নিত আছে ! সহীহ হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়- عن وازع بن زارع رضيالله عنه عن جدها وكان في وفد عبد القيس قال لما قذمنا المدينة فجعلنا نتبادر من رواحلنا فنقبل يد رسوالله صلي الله عليه و سلم و رجله  অর্থ : হযরত ওয়াজে ইবনে যারে উনার দাদা হতে বর্ননা করেন, আর তিনি ছিলেন আব্দুল কায়েস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন , আমরা যখন মদীনা শরীফে আসতাম, তখন আমরা আমাদের সাওয়ারী হতে তাড়াতাড়ি অবতরন করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত এবং পা মুবারকে চুম্বন করতাম।” দলীল — √ আবু দাউদ শরীফ-কিতাবুস সালাম-২য় খন্ড-৭০৯পৃষ্ঠা- হাদীস ৫২২৫ ! √ মিশকাত শরীফ- কিতাব...

মীলাদুন্নবী (ﷺ). সম্পর্কে যৌক্তিক দালালিক বিশ্লেষণ।

Image
মী লাদুন্নবী (ﷺ). এর আলোচনা কি পবিত্র কুরআনে আছে?? ➖➖➖➖ উত্তরঃ সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ বা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ে একটু তাত্ত্বিক বিশ্লেষন মহান আল্লাহ পাক বলেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনি বলে দিন, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম।” (পবিত্র সূরা ইউনূছ আলাইহিস সালাম : আয়াত শরীফ ৫৮) আমরা মু’মিন মুসলমান, নবীজীর আশেকগন এই আয়াত শরীফে “অনুগ্রহ ও রহমত’ বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝে থাকি। বাতিল ফির্কা তখন দলীল দেয় অনেক মুফাসসিরতো এই আয়াতে “অনুগ্রহ ও রহমত” বলতে ১) কুরআন শরীফ ২) ইসলাম ৩) ইলিম ৪) হেদায়েত ৫) নেক আমল ইত্যাদি বুঝিয়েছেন (যদিও শক্ত দলীল দ্বারা হুযুর পাক (ﷺ)কে বুঝানো হয়েছে) হ্যাঁ, ভালো কথা। কোন সমস্যা নাই। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, যদি অনুগ্রহ ও রহমত এর অর্থ কুরআন শরীফ ধরা হয় তবে কুরআন শরীফ পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে হবে। কারন কুরআন শরীফ আল্লাহ পাকের নিয়ামত। যদি ইসলাম, ইলিম, হেদায়...

১২ রবিউল আউয়াল?

Image
  মুফতি বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর মাঃ জিঃ ১২ রবিউল আওয়াল ঈদে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর আনন্দ উদযাপনের বিরুদ্ধে একটি পক্ষ একই দিন নবীর বিছালও বলে জোর প্রচারণা চালায়। ওই দিন আনন্দের পরিবর্তে শোক প্রকাশ যৌক্তিক বলে মতও ব্যক্ত করে থাকেন। আনন্দ নাকি শোক? কোনটা যৌক্তিক, সেই বিতর্ক তোলা রইল। সেই দিন আগমন নাকি গমন, সেটি আজকের আলোচ্য। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর ধরাধামে শুভাগমন পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের মতৈক্যে ১২ রবিউল আওয়াল হস্তির বছর। জ্যোতির্বিজ্ঞানী  মাহমূদ পাশা ও পরবর্তী অন্যান্য কতেক গবেষকের গবেষণা মতে ৯ রবিউল আওয়ালের উল্লেখও রয়েছে। অধিকন্তু প্রাচীন কাল থেকেই ইসলামী বিশ্বের মতৈক্য ১২ তারিখের ওপর। সুতরাং এটিই গ্রহণযোগ্য উক্তি। এ ধারাবাহিকতায় কয়েকটি ঐতিহাসিক উদ্ধৃতির উল্লেখ করছি। ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم الاثنين عام الفيل لإثنىٰ عشرة ليلة مضت من شهر ربيع الأول - অর্থাৎ "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর শুভাবির্ভাব হস্তির বছরের ১২ রবিউল আওয়াল সোমবারের দিন হয়েছে"। সূত্র: আল্ওয়াফা ৮৭ পৃষ্ঠা, ইবনে ...

ইমামে আহলে সুন্নাত, আল্লামা গাজী সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) জীবন দর্শন।

Image
 ইমামে আহলে সুন্নাত, আল্লামা গাজী সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) জীবন দর্শন।  --------------মোহাম্মদ সুফি ওসমান গনি  বা র আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার অন্তর্গত মেখল নামক গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে  ১৩২৩ হিজরী, ১৩১৩ বাংলা এবং ১৯০৬ ইংরেজীতে এক শুভ মুহূর্তে মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, ইমামে আহলে সুন্নাত, আল্লামা গাজী সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) জম্মগ্রহণ করেন। কারামতে গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ক. ও গাউছুল আযম মাওলায়ে রহমান বাবাভান্ডারী ক. হুযুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ক.'র দোয়ার বরকত নেক সন্তান লাভ এবং আশেকে রাসুল ﷺ'র জন্মের(শেরে বাংলা রহ.) ভবিষ্যতবাণী! কারামত নং- ০৭ হযরত আমিনুল হক ফরহাদাবাদী রহ. বলেন:            হযরত আজিজুল হক শেরে বাংলা রহ.'র পিতা যখনই অসুস্থ হতেন, তখন হুযুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ক.'র দরবারে দোয়ার দরখাস্ত নিয়ে হাজির হতেন এবং সেখানে কিছুদিন অবস্থান করতেন, শেরে বাংলা রহ.'র পিতার ভাষ্যমতে যখন হুযুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ক. তাকে দেখতেন, তখন উনার ঠোঁটের কোণে এক রহস্যময় ...

হযরত শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ বজলুল করিম মন্দাকিনী (রহঃ) জীবন দর্পন।

Image
 বাহারুল উলুম মুফতিয়ে আজম ইমামে আলা হযরত হযরত শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ বজলুল করিম মন্দাকিনী (রহঃ) জীবন দর্পন। মাইজভাণ্ডারী দর্শন ইসলাম তথা সুফিবাদের কৃষ্টি সভ্যতার অংশ বিশেষ। মাইজভাণ্ডারী দর্শনের কথা উঠতেই সর্বপ্রথম উঠে আসে এ দর্শনে রয়েছে ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলের উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার। আল্লাহ পাক স্বয়ং অসাম্প্রদায়িক৷ তাই এই মহান দর্শনেও ধর্মের কোন বাচ বিচার নেই। সকল ধর্মের সকল গোত্রের লোকের জন্য এই মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ও দর্শন পীঠস্থানে পরিনত হয়েছে। বাংলার জমিনে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা হিসেবেও সর্বমহলে এর গ্রহনযোগ্যতা ব্যাপক। অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনার জন্য এবং ধর্মের সত্তিকার স্বরুপ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বত্রানকর্তৃত্ব সম্পন্ন গাউসুল আযম রুপে হুজুর গাউসুল আযম মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী এ ধরাধামে আবির্ভূত হন। মানব সমাজকে ঐশী প্রেমের আলোয় আলোকিত করতে সৃষ্টি করেন পবিত্র মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা বা মাইজভাণ্ডারী দর্শন। রুমিয়ে বাঙ্গাল, হযরত মাওলানা বজলুল করিম মন্দাকিনীর ভাষায়, “যুগে যুগে তুমি বিভিন্ন প্রদেশে, নবী অলী নামে মুনিঋষী বেশে ; ঘোর অন্ধকার হতে মানবীকে আলোকে টানিয়ে...

সুফি কবি কাজি নজরুল ইসলাম

Image
আমাদের জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের লেখনীর মণি মুক্তার মত উজ্জ্বল ছিলো।  ১৯৭৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।যিনি অসংখ্য হামদ্ , নাত, গজলসহ রাসূল প্রেমে বিভোর হয়ে বহু নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রচনা করেছেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’।  পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।  তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান কর...