মোহাম্মদ সুফি ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারি রহঃ " জীবন দর্শন"
হযরত সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারী (রহ.)
মহান আউলিয়া-এ ক্বেরামের জন্মস্থান রাঙ্গুনিয়া রাজানগর ইউনিয়ন। সে হিসেবে বড়ই পূণ্যভূমি এ অঞ্চল। আর এ অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন হযরত মওলানা সৈয়দ শফিউল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারী (ক.) এর করুণাধন্য হযরত সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারী (রহ.)। তিনি ১৯৫৬ সালের ৩০ এপ্রিল , ১৩৭৭ হিজরীর ১৩৬৫ বাংলার ১৭ বৈশাখ রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুর রহমান ও মাতার নাম মোছাম্মৎ আছিয়া খাতুন ।
তিনি গৃহ শিক্ষকের মাধ্যমে আরবী শিক্ষা লাভ করেন, রাজানগর প্রাইমারী স্কুল থেকে প্রাইমারী শিক্ষা, রাঙ্গুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাস করেন।
কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি মুক্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মাইজভান্ডার শরীফ নিয়ে আলোচনারত থাকতেন। সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারী (রহ.) বাল্যকালে শান্ত স্বভাবের ছিলেন। অন্য শিশুদের মতো খেলাধুলায় তেমন মনোযোগী ছিলেননা। বিশেষ করে ধর্মীয় ও আউলিয়াক্বেরাম গণের জীবনি মূলক বই পড়তেন এবং তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করতেন। সকলের সাথে ধর্মীয় বিষয়দি ও আউলিয়াক্বেরাম গণের জীবনি নিয়ে আলোচনা করতেন। তাছাড়া নামাজ কালাম এবং কোরআন তেলোয়াতসহ ব্যাপকভাবে ইবাদত বন্দেগী করতেন। স্কুল কলেজে পড়ার সময় প্রায় সময় মাইজভান্ডার শরীফ চলে যেতেন। রাত মাইজভান্ডার শরীফ কাটিয়ে ভোরে বাড়ি ফিরতেন। মুক্তিযুদ্ধর পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড ল্যাফটেন্ট পদে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন।কিছুদিন চাকরি করার পর তিনি সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেন।পরে ১৯৭৬ সালে সরকারি সেটেলমেন্ট অফিস সহকারী হিসেবে যোগদান করেন,এবং কক্সবাজারের বদলি হন।সেখানে উনার আধ্যাত্মিকতার জীবন দর্শন শুরু হয়।কক্সবাজার থাকাকালীন হযরত গাউছুল আাজম মওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান আল হাচানী আল মাইজভান্ডারি (রহঃ) খলিফা, কুতুবে আউলিয়া হযরত মাওলানা আব্দুল লতিফ শাহ চন্দনাইশ (রহঃ) এর খলিফা সুফি হযরত বাদশাহ আউলিয়া (রহঃ) সাথে পরিচয় এর মাধ্যমে তার সাথে চলাফেরা শুরু হয়।
সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারী (রহ.)‘র ভক্তি শ্রদ্ধা দেখে হযরত বাদশাহ আউলিয়া তাঁর পীর জনাব কুতুবে জামান হযরত মাওলানা আব্দুল লতিফ শাহ চন্দনাইশ (রহঃ) কাছে নিয়ে যান।হযরত চন্দনাইশ বাবাজান (রহঃ) সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারি (রহঃ) কে আদরের সাথে গ্রহণ করেন।কিছুদিনের মধ্যে তাঁর প্রিয়ভাজন হয়ে যান।হযরত চন্দনাইশ বাবাজান (রহঃ) নিকট বায়ত গ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করলে হযরত মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারি কে আউলাদে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বংশেধর হজরত গাউছুল আাজম মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান আল হাচানী আল মাইজভান্ডারি (রহঃ) খলিফা উঁনার শাহাজাদা গাউছে জামান মাওলানা সৈয়দ শফিউল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারি (রহঃ) স্বপ্নে সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ কে মাইজভান্ডার যেয়ে বায়াত হউয়ার নির্দেশ করেন। সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ কালবিলম্ব না করে গউছে জামান হযরত মাওলানা সৈয়দ শফিউল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারি (রহঃ)নিকট বায়াতে রাসুল গ্রহণ করেন।সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারি তার মুর্শেদ সান্নিধ্য এখন পাগলের মত লেগে থাকতেন।১৯৮০ সালে ময়মনসিংহে সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ ৩ বছর সময় কাটান।সেখানে তিনি মাইজভান্ডারি তরিকা প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন।পরে ১৯৮৫ সালে তার মুর্শেদ গাউছে জামান শফিউল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারি নির্দশে গোপালগঞ্জে বদলি হয়ে আসেন।সেখানে তিনি প্রথম মাইজভান্ডারি তরিকা প্রচারের ভূমিকা পালন করেন। তরিকতের ব্যাপারে সুন্নি মনা মুসলমানদের দাওয়াত দিতে থাকেন।পরর্বতীতে লাখ আশেকে মাইজভান্ডারি আজ ব্যাপক বিস্তর লাভ করেছে। স্বল্প বেতনের চাকুরী করে সংসার ও তরিকার খেদমতে নিজেকে বিলিয়ে রেখেছিলেন। এই তরিকা দেখমতে জীবন উৎসর্গ করতে গিয়ে তিনি সমাজে অনেক ঘাত প্রতিঘাত স্থয্য করতে হয়েছে।সর্বস্থরের মানুষের সাথে ছিল উনার উঠাবসা।
তিনি অত্যান্ত কঠোর রিয়াজত সাধনায় রত ছিলেন, মহান মুনিবের সন্তুষ্টির আশায় নিজের এবং সন্তানদের জন্য ঘর বাড়ী তৈরি করা আশা ত্যাগ করেছেন। মহান মুনিবের চরনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
খাওয়ায়া দাওয়া করতেন খুব অল্প। এক বেলা খেলে অন্য বেলায় কম খেতেন। তাছাড়া গোপালগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা ছিল ওহাবী এলাকা। গোপালগঞ্জ তিনি আসার পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যাক্তিবর্গের সাথে তাঁর সম্পর্ক হতে থাকে। গোপালগঞ্জ থেকে ধীরে ধীরে দরবারমুখী হতে থাকে অনেকে। দরবার বিরোধীদের হুমকি ধমকির মাঝেও বিভিন্ন দরবারি আশেকের ঘরে মাইজভান্ডারী সেমা মাহফিলের আয়োজন করতে থাকেন। ধীরে ধীরে দরবারের প্রতি ধাবিত হতে থাকেন অনেকে। বিরোধীদের মধ্যেও পরবর্তী অনেকে তাঁর সান্নিধ্যে আসতে থাকেন। নিজেদের ভুলের অনুশোচনাও করেন। তারাও পরবর্তীতে মাইজভান্ডারী আশেক হিসেবে পরিচয় পায়। তাদের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ সদর,মাজিগাতি,ঘোষেরচর,কোটালিপাড়া ,মান্দারতলা এলাকায় আরো ব্যপকভাবে মাইজভান্ডারী অনুষ্ঠানাদি হতে থাকে। তিনি গোপালগঞ্জকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি গোপালগঞ্জ কাটিয়েছেন। মহান মুনিব গাউছে জামান হযরত সৈয়দ শফিউল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারী(ক.) এর স্মরণে ১৯৯৭ সালে বেদগ্রামে খানকা নির্মাণের উদ্যেগ গ্রহণ করেন। সে সময় দাতা ভালো মনের মানুষ জনাব জামিল কাজী মাইজভান্ডারি উনার মায়ের আদেশে এক খন্ড জমি দান করেন।সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়।খানকায়ে গাউছিয়া রহমানিয়া মুজিব মঞ্জিল। আজ সত্যি গোপালগঞ্জ আলোকিত। গোপালগঞ্জ এর অসংখ্যমানুষ মাইজভান্ডার মুখী। আশেকানে গাউছিয়া মাইজভান্ডারি কমিটি তাঁর হাতে গড়া একটি শক্তিশালী কমিটি। মাইজভান্ডারী ত্বরিকার প্রচার প্রসার হচ্ছে ব্যপকভাবে।
মাইজভান্ডার দরবার শরীফ ও খলিফায়ে মাইজভান্ডারী এবং বিভিন্ন আউলিয়া ক্বেরামগণের আওলাদ-এ পাকগণ তাঁকে মহব্বত করতেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় তাঁকে দাওয়াত করতেন।
এছাড়া বিভিন্ন আওলিয়াক্বেরামগণ তাঁকে পছন্দ করতেন। তাঁর কথার গুরত্ব দিতেন। তাঁর সাথে রুপক ও রসিকতার আলোচনা করতেন। তাঁদের মধ্যে বিশেষ করে, তাঁর মুর্শেদ গাউছে জামান মাওলানা সৈয়দ শফিউল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারি রহঃ ,খলিফায়ে গাউছুল আজম সৈয়দ গোলামুর রহমান আল হাচানী আল মাইজভান্ডারি (রহঃ) কুতুবে আউলিয়া হযরত আব্দুল লতিফ শাহ চন্দনাইশ (রহ.),হযরত সুফি বাদশাহ আউলিয়া( রহঃ)। মাইজভান্ডার শরীফের আওলাদেপাক হযরত মাওলানা সৈয়দ মুজিবুল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডরী(মঃ), হযরত নিজামুল হক শেরে বাংলা শাহ(মঃ.) সহ এর মত ওলামায়েক্বেরামগণের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। তাঁরা সকলেই সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারী(রহ.) কে মহব্বত করতেন ভালবাসতেন।
হযরত সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্
মাইজভান্ডারী(রহ.) ত্বরিকতের ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য বলতেন। সকলকে সু সম্পর্কের সহিত ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলতেন। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পছন্দ করতেন, প্রতিটি কাজে সুশৃংঙ্খলতা পছন্দ করতেন। অপচয় পছন্দ করতেন না। মাইজভান্ডার দরবার শরীফের গাউছিয়া রহমান মনজিলের মেহমানখানায় যে রুমে থাকতেন সে সময় খুব কম সময়ই আলো জ্বালতেন। পাখা চালাতেন না। তাঁর জন্য মুনিবের দুয়ারের সামন্য কিছু অপচয় হোক তিনি চাইতেননা। তিনি তাবরুক খেলে হাদিয়া প্রদান করতেন। এবং তাঁর সাথে যারা থাকতেন সকলকে হাদিয়া প্রদানের মাধ্যমে তাবরুক খাওয়ার জন্য বলতেন। তিনি মুনিবের কাছ থেকে জাগতিক টাকা পয়সা সাহায্য নেওয়া পছন্দ করতেননা। তিনি বলতেন, মুনিবের কাছে গিয়ে দয়া কামনা কর। তিনি চাইলে অনেক টাকা পয়সার মালিক বানিয়ে দিতে পারবেন।
কারো দুঃখ দুর্দশার কথা শুনলে তিনি ব্যাথিত হতেন। অসহায় গরিব হলে আর্থিক সহযোগীতা করতেন। সকলকে সহযোগীতা করার জন্য বলতেন। তাঁর কাছে বিভিন্ন জন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসতেন তিনি আধ্যাত্বিক ও দুনিয়াবি ভাবে যেভাবে প্রয়োজন সহযোহীতা করতেন। সমস্যাদির সমাধান দিতেন। বিনিময় কিছু কোনদিন দাবী করতেননা। বেশি হলে কাউকে সামর্থনুযায়ী দরবারে মোমবাতী আতর দিতে বলতেন, কোরআন খতম দেওয়ার জন্য বলতেন। অনেকের আবার তিনি নিজে টাকা দিয়ে এসব করতেন। তাঁকে মহব্বত করে এমন কারো কোন বিপদ বা সমস্যা হলে যতক্ষন তা সমাধান হচ্ছে না বা বিপদ কাটিঁয়ে উঠছেনা ততক্ষন তিনি অস্থির থাকতেন।
তাঁকে জানে চিনে মানে এমন যারা তাঁর হাতে টাকা পয়সা খরচের জন্য দিতেন তিনি এসব টাকা পয়সা খরচ করে ফেলতেন। জমা রাখতেননা, তিনি মানুষকে খাওয়ানো পছন্দ করতেন এবং মানুষকে খাওয়ানোর জন্য বলতেন। আগতদের আপ্যায়ন করা তিনি পছন্দ করতেন, তিনি প্রতিদিন চা নাস্তায় অনেক টাকা ব্যয় করতেন। তিনি বলতেন একজন আরেকজনকে খাওয়ানো কি সাধ্য আছে? রিজিকের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ দয়া করে যার মাধ্যমে খাওয়ায় সে খাওয়াতে পারে। তিনি বলতেন শুধু নিজের কথা ভাবিওনা অপরের কথাও ভাবিও। নিজে এবং নিজের সন্তানাদি খাওয়ার জন্য শুধু ফলের গাছ রোপণ করনা। রাস্তার ধারেও ফলের গাছ রোপণ করিও যাতে অপরের সন্তানরাও ফল খেতে পারে। তিনি অত্যন্ত সাধারন জীবন যাপন করতেন। তিনি একজন মহাণ অলি হয়েও নিজেকে সবসময় লুকিয়ে রাখতেন। বাহির থেকে বুঝা যেতনা তিনি কত বড় কামেল অলি ছিলেন। যারা তার সান্নিধ্যে যেত, মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন তারই বুঝেতে পারতেন তিনি কত মহৎ ছিলেন। তাঁর অসংখ্য আশেক ভক্ত থাকা সত্ত্বেও কখনও লোকজন নিয়ে দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করতেননা তাঁকে নিয়ে ঢাক ঢোল পিটিয়ে কিছু বলাও তিনি পছন্দ করতেননা। এবং সকলকে সর্ববস্থায় মহান মুনিবের উপর ভরশা রাখার পরামর্শ দিতেন। এবং তাঁর কাছে আগত সকলকে কুতুবে জামান হযরত মাওলানা সৈয়দ মুজিবুল বশর আল হাচানী আল মাইজভান্ডারি হুজুরের কদমে পাঠাতেন।
তাঁর সান্নিধ্যে এসে অসংখ্য পথহারা যুবক সঠিক পথের সন্ধান লাভ করেছেন। সমাজের চোখে খারাপ ছিল এমন অনেক যুবক তাঁর সংস্পর্শ পেয়ে সমাজের জন্য নিবেদিত হয়ে পড়েন। তাঁর সান্নিধ্য পেয়েছেন এমন এক যুবককে জনৈক ব্যক্তি বললেন তাঁর সাথে থেকে অর্থ্যাৎ সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারীর(রহ.) সাথে থেকে সিগারেট খাওয়া ছাড়া কি শিখলি। যুবক উত্তরে বলল হাতে সিগারেট দিয়ে তিনি হাত থেকে অস্ত্র ছাড়িয়েছেন। যুবকের উক্ত উত্তর থেকে সহজে বুঝা যায়,তিনি সত্যিকার অর্থে পথহারাদের সুপথে ফিরিয়ে এনেছেন।উঁনি সরকারি ভুমি অফিসে চাকরি করেও টাকার উপর লোভ করেনি,যার ফলে হালাল রুজিতে জীবন জাপানে কোন অসুবিধা হয়নি।
সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ মাইজভান্ডারী ওফাতের মাস তিনেক আগে থেকে হটাৎ করে অসুস্থতায় ভোগেন। চট্টগ্রামে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গোপালগঞ্জ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাববিভোর হয়ে পড়েন। এমতবস্থায় তিনি জিকিরে মগ্ন থাকতেন । বেশ সময় জজবায়ী হালে ছিলেন। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, হক এর কথা হক এ বলবে। হক আপনা আপনি ভেসে উঠবে এবং প্রতিষ্ঠিত হবে।
অবশেষে তিনি সকলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে তার শারেরিক অবস্থা বেশি খারাপ হলে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জিকিরের হালতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৮ সালের ৩ রা ফেব্রুয়ারী রাত ৩. ২০মিনিটে, ১৪২৪ বাংলার ২১মাঘ ওফাত লাভ করে মহান প্রভুর সাথে মিলিত হন। পরদিন তাঁর জানাযা আসর নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজে হাজার মানুষ উপস্থিত হয়।
কারামতঃ মোহাম্মদ সুফি ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারি রহঃ উঁনি ওফাত হলে উঁনার গোসলের সময় ও মাথা সোজা ছিল।যখন জানাজা শেষে উঁনার শরীরটা কবরের ভিতর নামানো হলে,ইমাম সাহেব বলতে লাগলেন, উঁনার মাথাটা পশ্চিম দিকে ফিরিয়ে দিতে।মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারি রহঃ এর ছোট শাহজাদা কফিনের মোড়ানো সাদা কাপড় খোলা মাত্র দেখা গেলো সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ্ মাইজভান্ডারি রহঃ মাথা মোবারক আপনা আপনি পশ্চিম দিকে ঘুরে রয়েছে।সেখানে উপস্থিত সকলে দেখেছিল। সুবাহানআাল্লাহ1 উঁনার আশীষ বাণীতে সুফি মোহাম্মদ ফজলুল হক শাহ মাইজভান্ডারীর (রহঃ) মুনিবের চরনে সারা জীবনের ত্যাগের কথা তুলে ধরেন এবং এ ত্যাগ যাতে মহান রাব্বুল আলামিন যাতে কবুল করেন তাঁর জন্য প্রার্থণা করেন। আমিন।
মাইজভান্ডারী দর্শন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন www.muktidhara.com
ReplyDelete