Posts

Showing posts from 2018

কেনো বলা হয় ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ)?

Image
*এ কোন ঈদ?* ইসলামের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব মুসলমান বৎসরে দুইটি ঈদ পালন করে আসছে।ইদানিং ক'বছর যাবৎ আমাদের দেশের কিছু লোক নতুন করে আরও একটি ঈদ আমদানি করেছে যার নাম দিয়েছে "ঈদে মিলাদুন্নবী" তারা এই ঈদ কোথায় পেল? *এ ঈদ কি?* *(১) কোরআনে আছে?* *(২) হাদিসে আছে?* *(৩) ফিকহাতে আছে?* (১) কোরআন শরীফের দলিলঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার বান্দাদেরকে তার নেয়ামত ও রহমত প্রাপ্তির শুকরিয়া স্বরূপ আনন্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দেখতে পারেনঃ *সূরা ইউনুস আয়াত (৫৮)* আর আল্লাহর প্রদত্ত নেয়ামত সমূহের মধ্যে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। সুতরাং ঐ নেয়ামত প্রাপ্তির দিনে শুকরিয়া হিসাবে কেন আমরা ঈদ পালন করব না? (২) হাদিস শরীফের দলিলঃ হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে যে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই মিলাদুন্নবীর শুকরিয়া হিসাবে প্রতি সোমবার রোজা পালন করেছেন। দেখতে পারেনঃ মিশকাত শরীফ (১৭৯) পৃষ্ঠা। সুতরাং আমরা কেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করব না? ১ম.রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দিন পালন করেছেন? উত্তর হ্যাঁঃ হুজুরে পূরনূর *মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহ...

আহলে বায়াতের প্রতি ভালোবাসা

Image
           "শাহদায়ে কারবালা স্বরনে        আহলে বায়াতের প্রতি ভালোবাসা " আজ এই শাহদায়ে কারবলা স্বরনে ইমাম হোসাইন রাঃ আত্মত্যাগ আমাদের সত্য ও ন্যায় পথে থাকতে শিক্ষা দেয়।হারমি ইয়াজিদ লানত হউক।নবী দঃ প্রতি ভালোবাসা ও তাঁর আহলে বায়াতের প্রতি মহাব্বত আমাদের নাজাতে পথপাথেয়।দুনিয়া ও আখিরাতে নাযাত পাওয়ার পূর্ব শর্ত হলো আহলে বায়াতের প্রতি ভালবাসা থাকা। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূরানী জবানের ঘোষণা: নবীজীর সাহাবী হয়রত আবূযর (রা:) হতে বর্নিত তিনি বলেন- নিশ্চয় আমার আহলে বায়াতগণ তোমাদের জন্য হযরত নূহ (আ:) এর কিস্ত্মির মত। এতে যারা আরোহন করেছে তারাই মুক্তি পেয়েছে, এবং যারা আরোহন করে নাই, অর্থাৎ বিরোধিতা করেছে তারা ধংস হয়েছে। (আহমদ, মিসকাত শরীফ পৃষ্ঠা নং-৫৭৩)আহলে বায়াতের পরিচিতি- নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন প্রিয়সাহাবী হযরত আবূ সাঈদ খুদুরী (রা:) ও তাবেয়ী হযরত মুজাহিদ ও অন্যান্য মুফাসসিরদের মতে, আহলে বায়াত বলতে আলে আবা অর্থাৎ (চাঁদরাবৃত) কে বুঝানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, চাদর দ্বারা আবৃত কারা? তার বর্ননা এভ...

তাসাউফ এর ইলম।

Image
প্রাচ্যবাদী বৃত্তি ইউরোপীয় ভাষাতে সূফীবাদ শব্দটি চালু করেছে।   সেই সময়ের আগে, ইউরোপীয় ভ্রমণকারীরা ওরিয়েন্টাল ডার্শিসের মাধ্যমে বৈদেশিক ধর্মীয় আচরণের বিবরণ এবং ফকিরস নামে বিবিধ ভারতীয় সন্ন্যাসীদের হিসাব ফিরিয়ে নিয়েছিল, তাদের সামাজিক সংগঠন ইউরোপিয়ান ঔপনিবেশিকতার জন্য একটি সমস্যা উত্থাপন করার পরেই এটি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়েছিল। ফার্সি সুফি কবিতা আবিষ্কার, প্রেম এবং ওয়াইনের রেফারেন্স দিয়ে ভরা, ইউরোপীয়দেরকে স্বতন্ত্র ধর্মের মুফাসসির হিসেবে কল্পনা করতে হয়েছিল যারা ইসলামের সাথে সামান্যই ছিল।   শব্দটির "-বাদ" গঠন (মূলত "সুফি-ইসম") প্রকাশ করে যে "সুফিবাদ" আদর্শ ও বিশ্বাস ব্যবস্থার আলোকসম্পাত ক্যাটালগের একটি অংশ এবং প্রায়ই এটি ব্যক্তিগত রহস্যবাদ, পৈনদবাদ এবং তত্ত্বের সাথে সমান হয় মানবতা ঐশ্বরিক হতে পারে   স্যার উইলিয়াম জোনস (ডি। 1794) এবং স্যার জন ম্যালকম (ডি। 1833) পন্ডিতদের মতবাদগুলি হিন্দু যোদ্ধ, গ্রীক দর্শনের বা বৌদ্ধধর্ম থেকে উদ্ভূত সূফীবাদ তত্ত্বকে উন্নত করেছিল। ইসলামী ঐতিহ্য, যা  তাসাউফ  এবং তার সামাজিক বাস্তবায়ন একটি কেন্দ্রীয় ভূ...

শাবে বারাতের দালালাত।

Image
বরকতময় রজনী "শবে বরাত" সম্পর্কে আলোকপাত, যা বিদায়াত নামক বিষে আক্রান্ত!!  --------------- --------------- --------------- --------------- ---------------  শবে বারাআত কি? শব” শব্দটা ফার্সি। যার অর্থ হল-রাত। আর বরাআত এটি আরবী শব্দ। মূলত হল-براءت যার অর্থ হল “মুক্তি” তথা জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত হল শবে বারাআত। শবে বারাআতকে হাদিসের পরিভাষায় বলা হয়েছে “লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান”(ليلة النصف من شعبان) তথা শাবানের অর্ধ মাসের রাত। কেউ কেউ “শবে বরাআত” নামে হাদিসে শব্দ না থাকায় এ রাতকে অস্বিকার করার মত খোড়া যুক্তি দিয়ে থাকেন। তাদেরকে আমি বলি-আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়া আবশ্যক বলি কুরআন হাদিসে বর্ণিত নির্দেশের কারণে। কিন্তু কুরআন হাদিসের কোথাও কি "নামায" শব্দ আছে? আমরা যাকে "নামায" বলি সেই অর্থবোধক কুরআন হাদিসের উদ্ধৃত শব্দ “সালাত”ই হল নামায। তেমনি আমরা যাকে “শবে বারাআত” বলি তথা শাবানের পনের তারিখের রাত বলে থাকি এই অর্থবোধক শব্দ হাদিসে পাওয়া গেলে তা’ই হবে শবে বারাআত। আর এই অর্থবোধক হাদীসে বর্ণিত শব্দ হল “লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান”। সুতরাং তাই হল শবে বারাআত। শ...

মাসালায়ে ইলমে তরিকত।

Image
‘কদম’ অর্থ পদ বা পা; বুছি অর্থ ‘চুম্বন’। কদমবুছির অর্থ হল ‘পদচুম্বন করা’। কদমবুছি করা আদব। যাদেরকে কদমবুছি করা আদবের ভিতরে পরে.... • মা-বাবাকে কদমবুছি করা, • গুরুজনদের কদমবুছি করা, • শিক্ষক ও ওস্তাদকে কদমবুছি করা, • পীর মাশায়েখকে কদমবুছি করা ইত্যাদি। কদমবুছি শরিয়তসম্মত ও গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। একে না জায়েজ বা শেরকি বলা অন্যায়। দলিল নং-১ পবিত্র হাদিস শরীফে আছে,“হযরত জারেইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বনী কায়েছ গোত্রের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি বলেন, যখন আমরা মদিনায় আগমন করলাম, দ্রুতগতিতে ছাওয়ারী থেকে নামলাম। অতঃপর আল্লাহর নবী (সাঃ) এর হাত মোবারকে চুম্বন করলাম ও তাঁর কদম মোবারকে চুম্বন করলাম।” তথ্যসূত্রঃ • সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং5135 ইফা; • বায়হাক্বী শরীফ, হাদিস নং-১৩৫৮৭; • ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ৮ম খন্ড; • মেসকাত শরীফ, হাদীস নং৪৬৮৮; • আল আদাব লীল বায়হাক্বী, হাদিস নং-২২৬। দলিল নং-২ হযরত ছাওফান ইবনে আছ্ছাল (রাঃ) বলেন, নিশ্চয় একদল ইয়াহুদী নবী করিম (সাঃ)এর হাত মোবারক ও কদম মোবারকে চুম্বন করেছেন।” তথ্যসূত্রঃ • তিরমিজি শরীফ, হাদীস নং২৭৩৩; • সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং-৪০৭৮; • সু...