ঈদে মিলাদুনব্বি সাঃ নিয়ে যত প্রশ্ন?
মওলিদুন্নবী (দ:) - এর উদযাপন ও অনুমতি (পর্ব - ১২২)
মূল: শায়খুল ইসলাম ড: মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
[Bengali translation of Shaykh Tahirul Qadri's book "Mawlid al-Nabi: Celebration and Permissibility - Part 122]
৬.১১ ইমাম শামস আল-দীন আল-যাহাবী (৬৭৩-৭৪৮ হিজরী)
ইমাম শামস আল-দ্বীন আবূ আবদিল্লাহ মুহাম্মদ বিন আহমদ বিন উসমা’ন আল-যাহাবী (১২৭৪-১৩৪৮ খৃষ্টাব্দ) মুসলিম জাহানের সেরা ইতিহাসবিদ ও মুহাদ্দীস উলামাদের একজন হিসেবে প্রশংসিত। তিনি ‘তাজরীদ আল-উসূল ফী আহা’দীসির রাসূল’, ‘মীযা’ন আল-এ’তেদা’ল ফী নাক্বদ আল-রিজা’ল, ‘আল-মুশতাবা ফী আসমা’ আল-রিজা’ল’, ‘তাবাক্বা’ত আল-হুফফা’য’ ইত্যাদির মতো বেশ কিছু সংখ্যক বই সংকলন করে হাদীস-শাস্ত্রের মৌলনীতি (উসূলে হাদীস) ও ‘এলম আল-রিজা’ল’ তথা জীবনী মূল্যায়ন বিদ্যার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছেন। তাঁর লেখা জনপ্রিয় ইতিহাসগ্রন্থ হচ্ছে ’তা’রীখ আল-ইসলাম ওয়া ওয়াফিয়্যা’ত আল-মাশা’হীর ওয়াল-আ’লাম’। ‘এলম আল-রিজা’ল’ শাস্ত্রে তাঁর লেখা ‘সিয়্যার আ’লাম আল-নুবালা’ একটি চমৎকার বই, যা’তে লেখক হাদীসের রাবী তথা বর্ণনাকারীদের জীবনীর পরিপ্রেক্ষিত/পটভূমি তুলে ধরেছেন; এই বইটি পণ্ডিতদের মাঝে এক বিশেষ আসন অধিকার করে আছে।
ইমাম যাহাবী তাঁর লেখনীতে সুলতান সালা’হ আল-দ্বীন আল-আইয়ূবী’র ভগ্নিপতি ইরবিল রাজ্যের সুলতান মুযাফফার আল-দ্বীন আবূ সাঈদ আল-কাওকাবুরী (বেসাল: ৬৩০ হিজরী) সম্পর্কে বিস্তারিত প্রশংসাসূচক বর্ণনা প্রদান করেন। বাদশাহ আল-কাওকাবুরী ছিলেন এক অতিশয় উদার ও অতিথিপরায়ণ ব্যক্তি যিনি মরণ-ব্যাধিগ্রস্ত ও অন্ধদের জন্যে চারটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন; আর সেগুলো তিনি প্রতি সোমবার ও বৃহষ্পতিবার পরিদর্শন করতে যেতেন। তিনি অভিভাবকহীন বিধবা নারী, এতিম-অনাথ ও শিশুদের জন্যেও গৃহ নির্মাণ করে দেন, আর তিনি নিয়মিতভাবে অসুস্থদের দেখতে যেতেন। সুলতান কাওকাবুরী হানাফী ও শাফেঈ মযহাবের শিক্ষার্থীদের জন্যে আলাদা আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সুফীদের জন্যে বসবাসের আস্তানা/খানেগাহ গড়ে দেন। ইমাম যাহাবী লেখেন যে এই সুলতান আক্বীদা-বিশ্বাসে সুন্নী মুসলমান ছিলেন, আর নির্মল আত্মাবিশিষ্ট এবং ধার্মিক-ও ছিলেন। ইমাম সাহেব নিজের ‘সিয়্যার আ’লাম আল-নুবালা’ এবং ‘তা’রীখ আল-ইসলাম ওয়া ওয়াফিয়্যা’ত আল-মাশা’হীর ওয়াল-আ’লাম’ উভয় পুস্তকেই এর বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করেন।
সুলতান কাওকাবুরী কর্তৃক মওলিদুন্নবী (দ:) উদযাপন সম্পর্কে ইমাম যাহাবী তাঁর বিবরণে বলেন: “সুলতানের মওলিদ উদযাপন মুখে বর্ণনারও অতীত! ইরাক্ব ও আরব উপদ্বীপ (জাযিরাতুল আরব) হতে মানুষেরা তাঁর উৎসব আয়োজনে শরীক হবার জন্যে যাত্রা করতেন….তিনি বিশাল সংখ্যক গরু, উট ও ভেড়া/ছাগল/দুম্বা (এই উদ্দেশ্যে) ক্বুরবানী করতেন এবং বিভিন্ন ধরনের রান্নার আয়োজন করতেন। সুফী/দরবেশমণ্ডলীকে উঁচু মর্যাদার ভূষণ দ্বারা সম্মানিত করতেন। শহরের প্রধান চত্বরে ওয়ায়েযীনবৃন্দকে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বয়ান রাখার সুযোগ দেয়া হতো, আর সুলতান (এসব আয়োজনে) বিপুল পরিমাণ অর্থব্যয় করতেন। মহানবী (দ:)-এর পবিত্র মীলাদ সম্পর্কে ইবনে দিহইয়া একখানি বই লিখেন, যার পুরস্কারস্বরূপ সুলতান তাঁকে এক সহস্র দিনার এনাম দেন। সুলতান মুযাফফার শাহ ছিলেন বিনয়ী ও প্রকৃত সুন্নী মুসলমান যিনি গরিব মানুষ ও মুহাদ্দীসীনবৃন্দকে মহব্বত করতেন। সিবত্ আল-জাওযী বলেন, ‘মওলিদ উদযাপন বাবদ সুলতান মুযাফফার শাহের বাৎসরিক ব্যয় হতো তিন লক্ষ দিনার; আর তিনি দুই লক্ষ দিনার খরচ করতেন সুফীদের জন্যে খানেগাহ/আস্তানা নির্মাণ বাবদ….আল-মুযাফফার শাহের আয়োজিত মওলিদ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী জনৈক ব্যক্তি উল্লেখ করেন যে রাজকীয় দস্তরখানে এক লক্ষ মাটির গেলাস/পানপাত্র, পাঁচ হাজার ছাগলের মাথা, দশ হাজার মোরগ, এক লক্ষ প্লেটভর্তি শুকনো ফল ও ত্রিশ হাজার প্লেটভর্তি মিষ্টি পরিবেশিত হতো….’।” [আল-যাহাবী, ‘সিয়্যার আ’লা’ম আল-নুবালা’, ১৬:২৭৪-২৭৫; আল-যাহাবী, ‘তা’রীখ আল-ইসলাম ওয়া ওয়াফায়্যাত আল-মাশা’হীর ওয়াল-আ’লা’ম’ (৬২১-৬৩০ হিজরী), ৪৫:৪০২-৪০৫]
৬.১২ ইমাম কামাল আল-দীন আল-আদফাউয়ী (৬৮৫-৭৪৮ হিজরী)
ইমাম কামা’ল আল-দ্বীন আবূ আল-ফাদল জা’ফার বিন সা’লাব বিন জা’ফার আল-আদফাউয়ী (১২৮৬-১৩৪৭ খৃষ্টাব্দ) নিজের লেখা ‘আল-তা’লী’ আল-সাঈদ আল-জা’মী’ লি-আসমা’ নুজাবা’ আল-সাঈদ’ পুস্তকে লেখেন: “আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু না’সির আল-দ্বীন মাহমূদ বিন আল-’এমা’দ আমাদেরকে জানান যে আবূ আল-তাইয়্যাব মুহাম্মদ বিন ইবরা’হীম আল-সাবতী আল-মা’লেকী যিনি ফূস্ নগরীর অধিবাসী ও অন্যতম নেককার আলেম, তিনি মকতব (বিদ্যালয়) অতিক্রমের সময় বলতেন, ‘ওহে আলেম! আজ খুশির দিন; শিশুদের বেরোতে দাও।’ এমতাবস্থায় তাঁকে (না’সিরুদ্দীন ’এমা’দকে) বেরোতে দেয়া হতো।”
এটা তাঁর কাছ থেকে (অকাট্য) প্রমাণ যে তিনি মওলিদ উদযাপনকে গ্রহণ করতেন এবং এর সমালোচনা করতেন না; আর তিনি ছিলেন বিভিন্ন বিদ্যাশাস্ত্রে পারদর্শী মালেকী মযহাবের ফক্বীহ ও নীতিপরায়ণ ব্যক্তি। (পণ্ডিত) আবূ হাইয়্যান ও অন্যান্যরা তাঁর কাছে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ৬৯৫ হিজরী সালে তিনি বেসালপ্রাপ্ত হন। [আল-সৈয়ূতী, ‘হুসন আল-মাক্বসিদ ফী ’আমল আল-মওলিদ’, ৬৬-৬৭ পৃষ্ঠা; আল-সৈয়ূতী, ‘আল-হা’ওয়ী লিল-ফাতা’ওয়া’, ২০৬ পৃষ্ঠা; আল-নাবহা’নী, ‘হুজ্জাত-আল্লাহ ’আলা’ল-’আলামীন ফী মু’জেযা’ত-এ-সাইয়্যেদিল-মুরসালীন’, ২৩৮ পৃষ্ঠা]
মূল: শায়খুল ইসলাম ড: মুহাম্মদ তাহিরুল কাদেরী
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
[Bengali translation of Shaykh Tahirul Qadri's book "Mawlid al-Nabi: Celebration and Permissibility - Part 122]
৬.১১ ইমাম শামস আল-দীন আল-যাহাবী (৬৭৩-৭৪৮ হিজরী)
ইমাম শামস আল-দ্বীন আবূ আবদিল্লাহ মুহাম্মদ বিন আহমদ বিন উসমা’ন আল-যাহাবী (১২৭৪-১৩৪৮ খৃষ্টাব্দ) মুসলিম জাহানের সেরা ইতিহাসবিদ ও মুহাদ্দীস উলামাদের একজন হিসেবে প্রশংসিত। তিনি ‘তাজরীদ আল-উসূল ফী আহা’দীসির রাসূল’, ‘মীযা’ন আল-এ’তেদা’ল ফী নাক্বদ আল-রিজা’ল, ‘আল-মুশতাবা ফী আসমা’ আল-রিজা’ল’, ‘তাবাক্বা’ত আল-হুফফা’য’ ইত্যাদির মতো বেশ কিছু সংখ্যক বই সংকলন করে হাদীস-শাস্ত্রের মৌলনীতি (উসূলে হাদীস) ও ‘এলম আল-রিজা’ল’ তথা জীবনী মূল্যায়ন বিদ্যার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছেন। তাঁর লেখা জনপ্রিয় ইতিহাসগ্রন্থ হচ্ছে ’তা’রীখ আল-ইসলাম ওয়া ওয়াফিয়্যা’ত আল-মাশা’হীর ওয়াল-আ’লাম’। ‘এলম আল-রিজা’ল’ শাস্ত্রে তাঁর লেখা ‘সিয়্যার আ’লাম আল-নুবালা’ একটি চমৎকার বই, যা’তে লেখক হাদীসের রাবী তথা বর্ণনাকারীদের জীবনীর পরিপ্রেক্ষিত/পটভূমি তুলে ধরেছেন; এই বইটি পণ্ডিতদের মাঝে এক বিশেষ আসন অধিকার করে আছে।
ইমাম যাহাবী তাঁর লেখনীতে সুলতান সালা’হ আল-দ্বীন আল-আইয়ূবী’র ভগ্নিপতি ইরবিল রাজ্যের সুলতান মুযাফফার আল-দ্বীন আবূ সাঈদ আল-কাওকাবুরী (বেসাল: ৬৩০ হিজরী) সম্পর্কে বিস্তারিত প্রশংসাসূচক বর্ণনা প্রদান করেন। বাদশাহ আল-কাওকাবুরী ছিলেন এক অতিশয় উদার ও অতিথিপরায়ণ ব্যক্তি যিনি মরণ-ব্যাধিগ্রস্ত ও অন্ধদের জন্যে চারটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন; আর সেগুলো তিনি প্রতি সোমবার ও বৃহষ্পতিবার পরিদর্শন করতে যেতেন। তিনি অভিভাবকহীন বিধবা নারী, এতিম-অনাথ ও শিশুদের জন্যেও গৃহ নির্মাণ করে দেন, আর তিনি নিয়মিতভাবে অসুস্থদের দেখতে যেতেন। সুলতান কাওকাবুরী হানাফী ও শাফেঈ মযহাবের শিক্ষার্থীদের জন্যে আলাদা আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যায়তন প্রতিষ্ঠা করেন এবং সুফীদের জন্যে বসবাসের আস্তানা/খানেগাহ গড়ে দেন। ইমাম যাহাবী লেখেন যে এই সুলতান আক্বীদা-বিশ্বাসে সুন্নী মুসলমান ছিলেন, আর নির্মল আত্মাবিশিষ্ট এবং ধার্মিক-ও ছিলেন। ইমাম সাহেব নিজের ‘সিয়্যার আ’লাম আল-নুবালা’ এবং ‘তা’রীখ আল-ইসলাম ওয়া ওয়াফিয়্যা’ত আল-মাশা’হীর ওয়াল-আ’লাম’ উভয় পুস্তকেই এর বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করেন।
সুলতান কাওকাবুরী কর্তৃক মওলিদুন্নবী (দ:) উদযাপন সম্পর্কে ইমাম যাহাবী তাঁর বিবরণে বলেন: “সুলতানের মওলিদ উদযাপন মুখে বর্ণনারও অতীত! ইরাক্ব ও আরব উপদ্বীপ (জাযিরাতুল আরব) হতে মানুষেরা তাঁর উৎসব আয়োজনে শরীক হবার জন্যে যাত্রা করতেন….তিনি বিশাল সংখ্যক গরু, উট ও ভেড়া/ছাগল/দুম্বা (এই উদ্দেশ্যে) ক্বুরবানী করতেন এবং বিভিন্ন ধরনের রান্নার আয়োজন করতেন। সুফী/দরবেশমণ্ডলীকে উঁচু মর্যাদার ভূষণ দ্বারা সম্মানিত করতেন। শহরের প্রধান চত্বরে ওয়ায়েযীনবৃন্দকে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বয়ান রাখার সুযোগ দেয়া হতো, আর সুলতান (এসব আয়োজনে) বিপুল পরিমাণ অর্থব্যয় করতেন। মহানবী (দ:)-এর পবিত্র মীলাদ সম্পর্কে ইবনে দিহইয়া একখানি বই লিখেন, যার পুরস্কারস্বরূপ সুলতান তাঁকে এক সহস্র দিনার এনাম দেন। সুলতান মুযাফফার শাহ ছিলেন বিনয়ী ও প্রকৃত সুন্নী মুসলমান যিনি গরিব মানুষ ও মুহাদ্দীসীনবৃন্দকে মহব্বত করতেন। সিবত্ আল-জাওযী বলেন, ‘মওলিদ উদযাপন বাবদ সুলতান মুযাফফার শাহের বাৎসরিক ব্যয় হতো তিন লক্ষ দিনার; আর তিনি দুই লক্ষ দিনার খরচ করতেন সুফীদের জন্যে খানেগাহ/আস্তানা নির্মাণ বাবদ….আল-মুযাফফার শাহের আয়োজিত মওলিদ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী জনৈক ব্যক্তি উল্লেখ করেন যে রাজকীয় দস্তরখানে এক লক্ষ মাটির গেলাস/পানপাত্র, পাঁচ হাজার ছাগলের মাথা, দশ হাজার মোরগ, এক লক্ষ প্লেটভর্তি শুকনো ফল ও ত্রিশ হাজার প্লেটভর্তি মিষ্টি পরিবেশিত হতো….’।” [আল-যাহাবী, ‘সিয়্যার আ’লা’ম আল-নুবালা’, ১৬:২৭৪-২৭৫; আল-যাহাবী, ‘তা’রীখ আল-ইসলাম ওয়া ওয়াফায়্যাত আল-মাশা’হীর ওয়াল-আ’লা’ম’ (৬২১-৬৩০ হিজরী), ৪৫:৪০২-৪০৫]
৬.১২ ইমাম কামাল আল-দীন আল-আদফাউয়ী (৬৮৫-৭৪৮ হিজরী)
ইমাম কামা’ল আল-দ্বীন আবূ আল-ফাদল জা’ফার বিন সা’লাব বিন জা’ফার আল-আদফাউয়ী (১২৮৬-১৩৪৭ খৃষ্টাব্দ) নিজের লেখা ‘আল-তা’লী’ আল-সাঈদ আল-জা’মী’ লি-আসমা’ নুজাবা’ আল-সাঈদ’ পুস্তকে লেখেন: “আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু না’সির আল-দ্বীন মাহমূদ বিন আল-’এমা’দ আমাদেরকে জানান যে আবূ আল-তাইয়্যাব মুহাম্মদ বিন ইবরা’হীম আল-সাবতী আল-মা’লেকী যিনি ফূস্ নগরীর অধিবাসী ও অন্যতম নেককার আলেম, তিনি মকতব (বিদ্যালয়) অতিক্রমের সময় বলতেন, ‘ওহে আলেম! আজ খুশির দিন; শিশুদের বেরোতে দাও।’ এমতাবস্থায় তাঁকে (না’সিরুদ্দীন ’এমা’দকে) বেরোতে দেয়া হতো।”
এটা তাঁর কাছ থেকে (অকাট্য) প্রমাণ যে তিনি মওলিদ উদযাপনকে গ্রহণ করতেন এবং এর সমালোচনা করতেন না; আর তিনি ছিলেন বিভিন্ন বিদ্যাশাস্ত্রে পারদর্শী মালেকী মযহাবের ফক্বীহ ও নীতিপরায়ণ ব্যক্তি। (পণ্ডিত) আবূ হাইয়্যান ও অন্যান্যরা তাঁর কাছে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ৬৯৫ হিজরী সালে তিনি বেসালপ্রাপ্ত হন। [আল-সৈয়ূতী, ‘হুসন আল-মাক্বসিদ ফী ’আমল আল-মওলিদ’, ৬৬-৬৭ পৃষ্ঠা; আল-সৈয়ূতী, ‘আল-হা’ওয়ী লিল-ফাতা’ওয়া’, ২০৬ পৃষ্ঠা; আল-নাবহা’নী, ‘হুজ্জাত-আল্লাহ ’আলা’ল-’আলামীন ফী মু’জেযা’ত-এ-সাইয়্যেদিল-মুরসালীন’, ২৩৮ পৃষ্ঠা]
Comments
Post a Comment