আদবে আউলিয়া দরবার
রওজা শরীফে চুম্বন করা, চেহারা
রাখা বা সিজদা করা
প্রসংগে :
---**---
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺻﺎﻟﺢ ﻗﺎﻝ : ﺃﻗﺒﻞ ﻣﺮﻭﺍﻥ ﻳﻮﻣﺎ
ﻓﻮﺟﺪﺭﺟﻼ ﻭﺍﺿﻌﺎ ﻭﺟﻬﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻘﺒﺮ ﻓﻘﺎﻝ : ﺃﺗﺪﺭﻱ ﻣﺎ
ﺗﺼﻨﻊ ؟ﻓﺄﻗﺒﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﻓﺈﺫﺍ ﻫﻮ ﺃﺑﻮ ﺃﻳﻮﺏ ﻓﻘﺎﻝ : ﻧﻌﻢ ﺟﺌﺖ
ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ - ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ - ﻭﻟﻢ ﺁﺕ ﺍﻟﺤﺠﺮ -
হজরতে আবু. দাউদ বিন আবি সালেহ
বর্ননা
করেন. যে একদা মারওয়ান রাস্তা
দিয়ে
যাচ্ছিলেন, তখন তিনি দেখলেন. একজন
ব্যক্তি হুযুর নবী এ কারিম. সাল্লালাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা
মুবারকের
উপর চেহারা রাখা (সিজদা) অবস্থায়
আছেন।
তখন
তিনি (মারওয়ান) বললেন কি করছেন
জানেন । তখন তিনি বললেন হ্যাঁ আমি
জানি আমি কি করছি। যখন ঘুরলেন তখন
দেখলেন তিনি সাহাবিয়ে রাসুল
হযরত
আবু আয়ুব আন্সারি( রা .আ) ছিলেন।
তিনি
(আবু আয়ুব আনসারি রা.আ) বললেন আমি
কোনো পাথরের স্তম্ভের কাছে
আসিনি
স্বয়ং রাসুলুল্লাহর (দ) কাছে এসেছি"।
এখানে শব্দ.এসেছে ওয়াজহাহু"( ﻭﺟﻬﻪ )"
যার
অর্থ 'চেহারা ', যার মধ্যে কপাল
থেকে ঠোঁট,নাক,চোখ সব পড়ে যায়।
(অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গ সিজদা) তার মানে উনি শুধু
চুমু অবস্থায় নয়, বরং সিজদাবনত অবস্থায়
ছিলেন।
(১) হাদীস -হাকিম. আল মুস্তাদরাকে
হাকিম, হাদীসনং-8636, জিলদ -4 ..
ইমাম হাকিম বলেন অত্র হাদীসটি সহি।
(২) মুসনাদে আহমাদ, খন্ড-৫,হাদীস
নং-২৩৬৩৩
---**---
এ হাদিস শরীফ দ্বারা দুইটা জিনিস
প্রমানিত হয়।
১. রওজা শরীফে চুম্বন করা,মাথা
নোয়ানো,চেহারা রাখা বা সিজদা
করা প্রভৃতি
জায়েয।
২. রওজা শরীফ আর পাথরের স্তম্ভ বা
মুর্তি, এ দুটো সম্পুর্ন
ভিন্ন
জিনিস। কতিপয় মুসলিম এ দুটিকে এক
করে ফেতনা সৃস্টি করে।অথচ এ দুটিকে
এক করে বেয়াদবি
প্রদর্শনের কোন স্থান ইসলামে নেই। এরুপ
যারা করেন হাদিস শরীফের মর্ম বুঝে
উনাদেরকে এহেন ঈমানহানিকর কথা-
বার্তা ও আকিদাপোষন থেকে বিরত
থাকার আহবান জানায়।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগ।
Comments
Post a Comment