ছয় উসুলের তাবলিগ জামাত ও ইসলাম
বর্তমানে প্রচলিত ইলিয়াস মেওয়াতির স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগ হচ্ছে, হাদীস শরীফে বর্নিত খারীজি ফির্কা তার প্রমান
বর্তমানে সকলের পরিচিত এবং তথাকথিত বড় দল হচ্ছে ইলিয়াস মেওয়াতির স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগ। এ দলের লোকেরা সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর কথামালার বেড়াজালে আবদ্ধ করে নিজেদের দল ভারী করার চেস্টা করে। এবং সাধারণ মানুষও এদের কথা শুনে এবং ফায়দা ফযিলতের কথা শুনে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ এই তাবলিগ জামাতের কুফরী আক্বীদা সম্পর্কে অবগত নয়। সাধারন লোকজন এদের আক্বীদা সম্পর্কে না জেনে শুধু এদের দাওয়াতী কাজে যোগ দিয়ে নবীওয়ালা কাম করছে বলে গর্ববোধ করে।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজী ফির্কা।
আসুন আমরা উক্ত খারেজী ফির্কা সম্পর্কে বর্নিত আলামত সমৃদ্ধ হাদীস শরীফ খানা দেখি--
" সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে হতে কোন একটি দেশ হতে আমার উম্মতের ভিতর হতে একটি দল বের হবে। এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত। তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না। তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না। তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না। এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।""
দলীল-
√ ফতহুল বারী ১২ তম খন্ড ৩৫০ পৃষ্ঠা ।
√ মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা ।
এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানা বাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হদস মৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা " রহমানী পয়গাম" এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭ নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে।
এখন জানার বিষয় হচ্ছে উল্লিখিত হাদীস শরীফে বর্নিত আলামত বা লক্ষন সমূহ তাবলিগীদের মধ্যে আছে কিনা ?
এর জবাবে বলতে হয়- উল্লিখিত হাদীস শরীফে খারেজী ফির্কার যতগুলা লক্ষন বর্নিত আছে তার সবগুলাই তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিরাজমান। আসুন আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি-
প্রথমত বলা হয়েছে, " পূর্ব দেশ গুলির মধ্য হতে কোন একটি দেশ থেকে আমার উম্মতের ভিতর থেকে একটি দল বের হবে। "
→ দেখুন, প্রচলিত এই ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ এর উৎপত্তি পূর্ব দেশ থেকে । অর্থাৎ ১৩৪৫ হিজরী সনে পূর্ব দেশ ভারতের মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতী 'তাবলীগ জামাত' নামক এই ছয় উছুলী তাবলিগ প্রবর্তন করে। বর্তমানেও ভারতের নিজামুদ্দিন বস্তিতে তাদের মূল মারকায বা ঘাটি রয়েছে । সূতরাং দিবালোকের মত প্রমান হলো যে, প্রচলিত ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা তাবলিগ জামাত নামক দলটি পূর্ব দেশ থেকেই বের হয়েছে ।
দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, " এই দলের সদস্য গন হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত।"
→ দেখুন, এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলিগীদের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে মূর্খ। এদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মলফুজাতে মূর্খ শ্রেণীর লোক দ্বারা দল ভারী করার কথা বলে গিয়েছে। আর মজার ব্যাপার এদের দলে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও ধীরে ধীরে মূর্খে পরিনত হয়। এরা ফাজায়েলে আমল ব্যতীত অন্য কোন কিতাব দেখতেও চায় না,পড়তেও চায় না। এবং ছয় উছুলের বাইরে অন্যকিছু তারা আলোচনাও করে না। তাই কোন শিক্ষিত লোক সেখানে গেলে পূর্ন ইলিম চর্চার অভাবে মূর্খে পরিনত হয়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় এই চিল্লাওয়ালা তাবলিগিরা আলিমদের চাইতে মূর্খদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
যা তাদের মুরুব্বী দের বক্তব্য
দ্বারা প্রমানিত।
যেমন- তাবলীগিদের বিশিষ্ট
মুরুব্বী ইসমাঈল হোসেন
দেওবন্দী তার কিতাবে লিখেছে--
"অনেক স্থলে নবীগন পর্যন্ত
হিদায়েতে বিরাট সংকটে ও
বিপদে পড়িয়াছিলেন,তাই
অনেক স্থানে বিরাটলআলেমও ফেল পড়িতেছে। কিন্তু মূর্খগন তথায় দ্বীন জয় করিতেছে।"
দলীল-
√তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু
দায়িত্ব ১১৬ পৃষ্ঠা ।
সবাই একটু লক্ষ্য করুন তাবলীগ
মৌলবী নিজেই স্বীকার করলো তাবলীগি দের অধিকাংশ মূর্খ। কারন তার কিতাবে মূর্খগন
দ্বারা তাবলীগিদের বুঝিয়েছে।
শুধু তাই নয়, তাবলীগি দের
কিতাবে আরো আছে--
" মূর্খ লোক আমীর হওয়ার জন্য তিন চিল্লা যথেষ্ট । আর আলেম
দের জন্য প্রয়োজন সাত চিল্লা।"
দলীল-
√ তের দফা ৭ পৃষ্ঠা ।
তারা আরো বলে থাকে-
"দ্বীন প্রচার শুধু আলেম দের
মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে দ্বীন ধ্বংস
হয়ে যেত এবং যাবে। অর্থাৎ জাহেল লোক তাবলিগ করার কারনে দ্বন টিকে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে। "
দলীল-
√ তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ও উহার সদুত্তর ৯৫ পৃষ্ঠা ।
মূল : শা : আ: জাকারিয়া। অনুবাদ- মুহিববুর রহমান আহমদ।
এবার আপনারাই বিচার করুন
হাদীস শরীফে বর্নিত দ্বিতীয় লক্ষল
মিলে গেলো কিনা??
তৃতীয়ত বলা হয়েছে, " তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না।"
→ এ কথা সারা দুনিয়াবাসীর জানা যে, প্রচলিত এই চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা তাদের বয়ানে শুধু ফজিলতের কথাই বলে। তাদের প্রতিটা সদস্যদের একটাই বুলি- " দ্বীনের রাস্তায় সময় লাগান, বহু ফায়দা হবে, তিন চিল্লা মারেন বহু ফায়দা হবে, গাস্ত করেন বহু ফায়দা হবে!!!""
এই বহু ফায়াদা হবে এটা তাবলীগিদের একটা কমন ডায়ালগ। সেটাই কিন্তু হাদীস শরীফে বলা হয়েছে- তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের বা ফায়দার।"
যেমন কিরকম ফযীলতের কথা এরা বলে একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন। এরা সাধারণ মানুষকে মসজিদে ডেকে নিয়ে বুঝায়- " গাশত কারীরা যে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় সে রাস্তায় যে ঘাস হয়, সে ঘাস যে গরু খায়, সে গরুর দুধ বা গোশত যারা খাবে তারাও বেহেশতে যাবে, এতো ফায়দা হবে।"
তাদের বক্তব্যে আরো শোনা গেছে- " কিছু সময় গাশতে বের হওয়া শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে হাজরে আসওয়াদকে সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চাইতেও উত্তম।"
এবার চিন্তা করুন, হাদীস শরীফে বর্নিত লক্ষম এদের মধ্যে পাওয়া যায় কিনা।
আর এসকল কথার সত্যতা তাদের মুরুব্বী দের কিতাবেই পাওয়া যায়।
তাবলীগ জামায়াত এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতি তার মালফুযাতে লিখেছে-
" ফাযায়েলের মর্যাদা মাসায়েলের চাইতে বেশি।"
দলীল-
√ মলফুযাত ১২৮ পৃষ্ঠা ২০১ নং মালফুজ।
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০১ পৃষ্ঠা ।
তাদের অন্যতম মুরুব্বী মাওলানা নোমান আহমদ লিখেছে-
" সারা বছর প্রতি মাসে তিন দিন করে লাগালে পুরা বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো হয়েছে বলে গন্য হবে। কারন প্রতি নেক কাজে দশগুন সাওয়াব হিসেবে একদিনের কাজে ত্রিশ দিনের সাওয়াব পাওয়া যাবে।"
দলীল-
√ হযরতজীর কয়েকটি স্মরনীয় বয়ান ১৩ পৃষ্ঠা ।
তারা ফায়দার কথা বলতে গিয়ে আরো বলে-
" প্রচলিত তাবলীগ হচ্ছে নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। তাতে যার উঠলো তারা নাজাত পেয়ে গেলো।"
দলীল-
√ তাবলীগ কা মুকিম কাম ৩৯ পৃষ্ঠা ।
সূতরাং উপরোক্ত বিষয় গুলা থেকে এটাও প্রমান হলো, তারা ফযীলতের কথা বেশি বলে ।
শুধু তাই নয়, এরা ফযীলত নিয়ে একের পর এক কিতাবও লিখে, যেমন- ফাযায়েলে আমল, ফাযায়েলে ছদাকাত, ফাযায়েলে তাবলীগ ইত্যাদি আরো অনেক।
সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত তৃতীয় লক্ষনও এদের মধ্যে পূর্নমাত্রায় বিরাজমান এটা প্রমান হলো।
চতুর্থত যেটা বলা হয়েছে, " তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। "
→ এরা জবাবে বলতে হয়, আপনারা একটু ভালো করে এদের আমল গুলা খেয়াল করবেন। দেখবে লোকদেখানোর জন্য এমন ভাবে নামাজ পড়তেছে যে, সিজদায় গেলে যেনো আর উঠতেই চায় না, রুরুতে গেলে আর উঠতেই চায় না..... সাধারন পাবলিক তখন ভাবে, আহা ! কতই না উত্তম ভাবে নামাজ পড়তেছে। এদের প্রায় সবার কপালে কালো দাগ হয়ে গেছে। এরা বুঝাতে চায় তারা এতো নামাজ পড়ে যে কপালে দাগ পরে যায়। ( মূলত সঠিক ভাবে নামাজ পড়লে ওই রকম দাগ কোন দিনও হবে না, এরা এই দাগ মাটিতে কপাল ঘষে বানায়।) এবং এরা লোক দেখানোর জন্য এবং দলে ভিরানোর জন্য এরা এমন বিনয় প্রদর্শন করে, মানুষ মনে করে না জানি এরা কত ভালো।
আর এথায় হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-" তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। "
সূতরাং হাদীস থেকে খারেজীদের চতুর্থ লক্ষন তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান প্রমান হলো।
পঞ্চমত বলা হয়েছে--" তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।'"
→ এর প্রমানও এদের মধ্যে বিদ্যমান । এরা কুরআন শরীফের কোন হুকুম প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই করে না। এদের একটাই কাজ সেটা হচ্ছে, গাট্টিবস্তা নিয়ে মসজিদে মসজিদে ঘোরা ফেরা করা আর মসজিদের মুসল্লিদের দাওয়াত দেয়া। অথচ অসংখ্য বেনামাজি আছে, সুদ খোর আছে, দূর্নিতিবাজ আছে এদের বুঝাইতে যায় না। এরা নিজেরাই হারাম নাজায়িয কাজে মশগুল।
শুধু তাই নয়, দুনিয়াতে খিলাফত কায়েম হোক এ ব্যাপারে তাদের কোন প্রচেষ্টা নেই। বরং খিলফতের ব্যাপারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে।
যেমন তাদের কিতাবে বর্নিত আছে--
" প্রচলিত তাবলিগ জামায়ে জিহাদ পূর্নমাত্রায় বিদ্যমান বা ছয় উছুলী তাবলীগ হচ্ছে জিহাদে আকবর!"
দলীল-
√ তাবলীগে দাওয়াত কি এবং কেন ৭৫ পৃষ্ঠা
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০৯ পৃষ্ঠা ।
√ তাবলীগ জামায়াতের সমালোচনা ও তার জবাব ৮৮ পৃষ্ঠা ।
অর্থাৎ এই মসজিদে মসজিদে পিকনিক করাকে তারা জিহাদে আকবর বলে। এভাবে ইসলাম কায়েমের দিক থেকে কৌশলে তারা মানুষকে সরিয়ে দিচ্ছে।
আর তাছাড়া তাদের নেসাব ছাড়া তারা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফের কোন আলোচনাই করে না।
সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত- "
তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।" এই লক্ষনও তাবলীগ জামায়াতের মাঝে বিদ্যমান সেটা প্রমান হলো।
পরিশেষে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-" এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।""
অর্থাৎ এরা দিন ইসলাম থেকে খারীজ হয়ে গিয়েছে, চিরতরে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদের দলে বা এদের ডাকে সাড়া না দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে ।
উপরোক্ত হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজীদের যাবতীয় লক্ষন চিল্লাওয়ালা তাবলীগিদের মধ্যে বিরাজমান স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো।
এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরাই হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত জাহান্নামী মুরতাদ খারেজী ফির্কা।
(৩) এরপর তৃতীয়ত যেটা বলা হয়েছে, এরা সুন্নতী বাবরী চুল না রেখে সর্বদা মাথা ন্যাড়া বা মুন্ডন করবে। এটা খুবই মজার ব্যাপার এটা যাচাই করতে আপনারা ঢাকা কাকরাইল আসেন, দেখবেন ন্যাড়া মাথার অনেক খারেজী ঘোড়াফেরা করতেছে। এবং আমি নিজেও অসংখ্য বার তাবলিগী দের সেলুনে মাথা মুন্ডন করতে দেখেছি।
বাংলাদেশের তাবলিগী খারেজীদের অন্যতম মৃত শায়খুল হদস আজিজুল হক এর "রহমানী পয়গাম" এবং হাটহাজারীর আহম্মক শফীর "মাসিক মঈনুল ইসলাম" পত্রিকায় যতবার চুল রাখা সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছে ততবার এরা উত্তর লিখেছে, মাথা মুন্ডন কারা সুন্নত!"
দলীল-
√ মঈনুল ইসলাম মার্চ/২০০২ সংখ্যা।
অথচ সিয়া ছিত্তার হাদীসে শতশত হাদীস শরীফ আছে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাবরী চুল রাখতেন।
কিতাবে বর্নিত আছে--
ان المصطفي كان لايحلق شعره لغير نسك
অর্থ: প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ্ব ব্যাতীত অন্য কোন সময় উনার মাথা মুন্ডন করেন নাই।"
দলীল-
√ জামিউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ১/৯৯
ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৯ম খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠায় আছে-" মাথা মুন্ডন সুন্নত নয়।"
অথচ এই তাবলিগীরা মাথা মুন্ডন করে চকচকে করে রাখে। কারন মাথা মুন্ডন করাই হচ্ছে খারেজীদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খারেজীদের লক্ষন বর্ননা করে বলেন--
سيما هم التحليق
অর্থ: মাথা মুন্ডন হচ্ছে এদের বিশেষ চিহ্ন ।"
দলীল-
√ মিশকাত শরীফ কিতাবুল কিসাস
সূতরাং খারেজীদের অন্যতম লক্ষন বা বৈশিষ্ট্য মাথা মুন্ডন বা ন্যাড়া করা তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান । অতএব এ তৃতীয় বৈশিষ্ট্যও প্রমানিত হলো।
(৪) চতুর্থত যে বৈশিষ্ট্য, অধিকাংশ লোক নির্বোধ, মূর্খ, জাহিল হওয়া। এবিষয়ে এই নোটের প্রথম হাদীস শরীফের বিশ্লেষণে দলীল দেয়া হয়েছে । ওইখানে দেখুন....
(৫) পঞ্চমত যেটা বলা হয়েছে, এদের বক্তব্য হবে বহুগুনের ফযীলতে বা চমকপ্রদ। এ বিষয়েও এই নোটে প্রথম হাদীস শরীফের বিশ্লেষণে দলীল দিয়ে প্রমান করা হয়েছে । সেখানে আবার দেখুন.......
(৬) ষষ্ঠত যেটা বলা হয়েছে, এরা নিজেদের ব্যতীত অন্য সবাইকে কাফির মনে করবে। খারেজীদের মত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা নিজেদের ব্যতীত সবাইকে অমুসলিম মনে করে। এদের ধরনা শুধু এরাই মুসলিম আর সবাই কাফির।
এর প্রমান স্বয়ং তাবলিগীদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতির মালফুজাতে আছে। সে লিখেছে-
" মুসলমান দুই প্রকার। একদল তাবলীগের জন্য হিজরত করবে । দ্বিতীয় দল নুছরত বা সাহায্য করবে। এ দু'দলই মুসলমান ।"
দলীল-
√ মালফুজাত ৪৩ পৃষ্ঠা ৪২ নং মালফুজ।
√ দাওয়াত ও তাবলীগ কি ও কেন ২১ পৃষ্ঠা ।
√ হযরতজীর কয়েকটি সম্মরনীয় বয়ান ২/১১
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১৭৪ পৃষ্ঠা ।
উক্ত তাবলীগ প্রতিষ্ঠাতা স্পষ্ট বলেই দিলো, যারা তার স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগি করবে এবং একাজে সাহায্য করবে তারাই মুসলমান। আর যারা করবে না তারা মুসলমান না।
শুধু তাই নয়, তাবলীগ গুরু আম্বর আলী লিখেছে-
" ছয় উছুল ভিত্তিক এবং তরতীব মোতাবেক সকল স্থানের সকল লোককে দাওয়াত দেয়া ফরজ বা জরুরী এবং এ দাওয়াত না দেওয়ার কারনে যারা ঈমানহারা হয়ে মারা যাবে, তাদের জন্য যারা দাওয়াতের কাজ করবে না অথবা জড়িত থাকবে না, তাদেরকে আল্লাহ পাকের কাছে জবাবদীহি করতে হবে এবং তারা পাকড়াও হবে।"
দলীল-
√ দাওয়াতে তাবলীগ ৪৯ পৃষ্ঠা ।
উক্ত দলীল থেকে দেখা যাচ্ছে, তাদের ভাষ্যমতে যারা তাদের স্বপ্নে প্রাপ্ত চিল্লাওয়ালা ছয় উছুলী তাবলীগ করবে না তারা ঈমানহারা হবে, জাহান্নামী হবে , মুসলমান হতে পারবেনা ইত্যাদি ।
আর এরকম আক্বীদা একমাত্র খারেজী ফির্কাই পোষন করে।
খারেজীরাই বলে থাকে তাদের দলভুক্ত না হলে সবাই কাফির। এবিষয়টি আমরা তাবলীগিদের মধ্যেও দেখতে পেলাম।
সম্মানিত মুসলমান ভাই ও বোনেরা, আমরা অত্যম্ত সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ দিয়ে বুঝতে পারলাম খারেজী ফির্কা সংক্রান্ত যে হাদীস শরীফ বর্নিত হয়েছে, সেখানে খারেজীদের যে লক্ষন বলা হয়েছে সে লক্ষন সমূহ প্রচলিত ছয় উছুলী তাবলীগ জামায়াতের মধ্যে পরিপূর্ণ বিদ্যমান রয়েছে । আর খারেজীদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত।
এবং এই খারেজীদের ব্যাপারে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন--->>
لءن ادر كتهم لا قتلنهم قتل عاد
অর্থ: যদি আমি তাদের পেতাম, আদ গোত্রের মত হত্যা করতাম।"
দলীল-
√ মিশকাত শরীফ- মুজিজা অধ্যায়- ১ম পরিচ্ছেদ ।
এবার চিন্তা করুন কত কঠোর বানী উচ্চির হয়েছে খারেজীদের ব্যাপারে। তাবলীগিরা যেহেতু খারেজী তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য, এই তাবলিগীদের প্রতিহত করা, এদের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা, সালাম না দেয়া, সালামের জবাব না দেয়া, ছেলে-মেয়ে বিয়ে শাদী না দেয়া, এদের সাথে খাদ্য না খাওয়া,মারা গেলে জানাজা না পড়া, মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়া।প্রায় শতবছর পূর্বে পবিত্র ইসলামের নামে ঈমান হরণকারী এক বাতেল ফেরকার জন্ম দেয় দিল্লির ইলিয়াছ মেওয়াতী । ইলিয়াছ মেওয়াতী হজরত নিজামুদ্দিন (রহঃ) পবিত্র মাজার শরীফের সন্নিকটে মসজিদ থেকে কার্যক্রম শুরু করে, এটাকে মেওয়াতী তবলীগের মারকাজ বলা হয় । ইলিয়াছ মেওয়াতীর ছেলে হারুন মেওয়াতী। তারই ছেলে হলেন বিতর্কিত সাদ কান্ধলভী।
দিল্লির মারকাজের বর্তমান মুরব্বী সাদ কান্ধলভী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবী-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইস্তেঞ্জায় যোগদান করার জন্য বুধবার দুপুর ১ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছায় ভারতের ইলিয়াছ মেওয়াতীর দৌহিত্র সাদ কান্ধলভী ।
এদিকে সাদ কান্ধলভীর আগমন ঠেকাতে বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ করেছে জঙ্গী মদদ দাতা হেফাজতপন্থী কওমি অনুসারীরা ।
দিল্লির মারকাজের বর্তমান মুরব্বী সাদ কান্ধলভী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। যা কওমী অনুসারীদের অন্তরেও আঘাত লাগে ।
সাদ কান্ধলভীর আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ সোচ্চার হয়েছেন । তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যগুলো ‘সা’আদ সাহেবের আসল রূপ’ নামে একটি ছোট্ট বই আকারে প্রকাশ করেছেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস, মেওয়াতী তবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বী এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে ভারত সফরকারী ৫ সদস্যের অন্যতম উবায়দুল্লাহ ফারুক।
তাঁর লিখিত ‘ সাদ কান্ধলভীর আপত্তিকর’ কুরআন-হাদিস বিরোধী বক্তব্যগুলো তুলে ধরা হলো-
ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা:-
ভোটের সময় চিহ্ন হিসাবে (আঙুলে) যে রং লাগানো হয়, তার কারণে নামাজ হয় না। তাই ভোট না দেয়া উচিত।
কুরআন শরীফের ভুল ব্যাখ্যা:-
বিভিন্ন আয়াতে তিনি বলেন, মুফাসসিরিন এই আয়াতের কোনো এক তাফসির করেছেন, ওলামা কোনো এক তাফসির করে থাকেন, কিন্তু আমি এই তাফসির করে থাকি। এটা শুনো। এটাই সঠিক তাফসির!
ইসলাম ও ওলামাদের বিরোধীতা:-
ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম এবং পকেটে ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রেখে নামাজ হয় না। যে আলেমগণ ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখাকে ‘জায়েজ’ বলেন, তারা ‘ওলামায়ে ছু’। বার বার কসম খেয়ে তিনি বলেন, তারা হলো ‘ওলামায়ে ছু’। এমন আলেমরা হলো গাধা! গাধা! গাধা!
জাহেলি ফতোয়া:-
মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া এবং শোনা; প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মতো! (নাউজুবিল্লাহ)
মাদরাসা মসজিদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ
যারা কুরআন শরিফ শিখিয়ে বেতন গ্রহণ করেন, তাদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়েও খারাপ। যে ইমাম এবং শিক্ষক বেতন গ্রহণ করেন, বেশ্যারা তাদের আগে জান্নাতে যাবে!
কাওমি মাদরাসা বন্ধ করার চেষ্টা:-
মাদরাসাগুলোতে জাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় জাকাত দিলে জাকাত আদায় হবে না।
আওলিয়াদের সঙ্গে শত্রুতা:-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর কেবল তিনজন লোকের ‘বাইআত’ পূর্ণতা পেয়েছে। আর বাকি সবার বাইআত অপূর্ণ। সেই ৩ জন হলেন- শাহ ইসমাঈল শহীদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস এবং মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ।
সুন্নাত সম্পর্কে জাহেলি মন্তব্য:-
সাদ কান্ধলভী আযমগড়ের ইস্তেঞ্জায় এবং অন্যান্য ইস্তেঞ্জায় একাধিকবার সুন্নাতকে ‘৩ প্রকার’ বলে বর্ণনা করেছেন- ইবাদতের সুন্নাত, দাওয়াতের সুন্নাত এবং আচার-অভ্যাসের সুন্নাত।
নবী রাসুলগণের বিরোধিতা:-
‘দাওয়াতের পথ’ হলো নবির পথ, ‘তাসাউফের পথ’ নবির পথ না।
ভ্রান্ত আকিদা:-
আজান হলো ‘তাশকিল’ (প্ল্যান-পরিকল্পনা)। নামাজ হলো ‘তারগীব’ (পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ)। আর নামাজের পর আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া হলো ‘তারতীব’ (পরিকল্পনার মূল বাস্তবায়ন)।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাওয়াত ইলাল্লাহর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইশার নামাজকে পর্যন্ত বিলম্ব করে পড়েছেন। অর্থাৎ নামাজের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি।
হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম ‘তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বল’ বলে গাইরুল্লাহর দিকে দৃষ্টি দেয়ার কারণে তাকে অতিরিক্ত ৭ বছর জেলখানায় থাকতে হয়েছে।
হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহকে ছেড়ে গাছের কাছে আশ্রয় চাইলেন। ফলে শাস্তি ভোগ করতে হলো। মুজিজার সম্পর্ক কেবল দাওয়াতের সঙ্গে। নবুয়াতের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম থেকে বড় এক ভুল হয়ে গেছে এবং তিনি এক অপরাধ করে ফেলেছেন- জামাআত এবং কাওমকে ছেড়ে তিনি আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য ‘নির্জনতা’ অবলম্বন করেছেন।
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম কর্তৃক হজরত হারুন আলাইহিস সালামকে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানোও অনুচিৎ কাজ হয়েছে।
হেদায়েতের সম্পর্ক যদি আল্লাহর হাতে হতো; তাহলে তিনি নবি পাঠাতেন না।
কুরআন শরীফ বুঝে-শুনে তেলাওয়াত করা ওয়াজিব। তরজমা না জেনে তেলাওয়াত করলে তরকে ওয়াজিবের গোনাহ হবে।
আপনাদের কাছে সবচাইতে বড় গোনাহ- চুরি, যিনা। ঠিকই এটা বড় গোনাহ; তবে তার চাইতে বড় গোনাহ হলো খুরুজ না হওয়া। তাই হজরত কা’ব ইবনে মালেকের সঙ্গে ৫০ দিন পর্যন্ত কথাবার্তা বন্ধ রাখা হয়।
জিকিরের অর্থ আল্লাহ আল্লাহ বা অন্যান্য তাসবিহ পড়া নয়; জিকিরের আসল অর্থ আল্লাহর আলোচনা করা।
আল্লাহ তাআলার হুকুমের সমালোচনা
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে (আল্লাহর হুকুমে) কিতাব আনতে চলে গেছেন। দাওয়াত ছেড়ে (কিতাব আনতে) চলে যাওয়ার কারণে ৫ লাখ ৭৭ হাজার লোক মুরতাদ হয়ে গেল।
মেওয়াতী তাবলিগের নতুন ধারা:-
আমাদের কাজের সঙ্গে লেগে থাকা সাথীরাই কেবল ইলিয়াস মেওয়াতী এবং ইউসুফের মালফুজাতই পড়বে। এগুলো ছাড়া (ফাজায়েলে আমল ও ফাজায়েলে সাদাকাতসহ) অন্য কিতাবাদি পড়বে না।
জিকিরের অস্বীকার:-
সকাল-সকাল কুরআন তেলাওয়াত করা এবং নফল নামাজ পড়ার তো একটা অর্থ বুঝে আসে। কিন্তু আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করে কী অর্জন হয়? কিছুই অর্জন হয় না!
এই এক তাবলিগই নবুয়তের কাজ। এ ছাড়া দ্বীনের যত কাজ আছে- দ্বীনি ইলম শিখানো, দ্বীনি ইলম শেখা, আত্মশুদ্ধি, কিতাবাদি রচনা করা কোনোটাই নবুয়তের কাজ না।
মাদরাসার উস্তাদরা বেতন নেয়ার কারণে দুনিয়াবি ধান্দায় জড়িয়ে আছে। এ কারণে দ্বীনের খেদমতের জন্যও তাদের কিছু সময় দেয়া উচিৎ।
আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ:-
কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জিজ্ঞাসা করবেন, তা’লিমে বসেছিলে কি না? গাশ্ত করেছিলে কি না?
সাহাবায়ে কেরামের ওপর মিথ্যা অপবাদ:-
প্রত্যেক সাহাবী অপর সাহাবীর বিরুদ্ধাচরণই করেছেন।
উল্লেখিত কুরআন-হাদিস বহির্ভূত আলোচনার জন্য ওলামায়ে দেওবন্দসহ বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম আলেমগণ তাঁকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাওবার আহ্বান জানায়
এসব গোমরাহী কথা-বার্তার অডিও রেকর্ড দারুল উলুম দেওবন্দে সংরক্ষিত আছে।
সাদ কান্ধলভী তাঁর দাদাজান ইলিয়াস মেওয়াতীসহ আকাবির আলেমদের মেহনতে তৈরি দাওয়াত ও তাবলিগের ময়দানে ভক্তি দেখিয়ে আম মানুষের জনপ্রিয়তা লাভ করেন। কিন্তু যুবায়রুল হাসান এর ইন্তেকালের পর পরই সাদ কান্ধলভী তার এ বিতর্কিত-আপত্তিকর মন্তব্য ও বক্তব্য তুলে ধরে আসল রূপে নিজেকে প্রকাশ করে ।
এইটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ফতোয়া।
আল্লাহ পাক আমাদের এই খারেজী তাবলীগি ফির্কা থেকে হিফাজত করুন।
আমীন !!!!
বর্তমানে সকলের পরিচিত এবং তথাকথিত বড় দল হচ্ছে ইলিয়াস মেওয়াতির স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগ। এ দলের লোকেরা সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর কথামালার বেড়াজালে আবদ্ধ করে নিজেদের দল ভারী করার চেস্টা করে। এবং সাধারণ মানুষও এদের কথা শুনে এবং ফায়দা ফযিলতের কথা শুনে আকৃষ্ট হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ এই তাবলিগ জামাতের কুফরী আক্বীদা সম্পর্কে অবগত নয়। সাধারন লোকজন এদের আক্বীদা সম্পর্কে না জেনে শুধু এদের দাওয়াতী কাজে যোগ দিয়ে নবীওয়ালা কাম করছে বলে গর্ববোধ করে।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজী ফির্কা।
আসুন আমরা উক্ত খারেজী ফির্কা সম্পর্কে বর্নিত আলামত সমৃদ্ধ হাদীস শরীফ খানা দেখি--
" সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী ও হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উনারা বলেন যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার বিদায়ের পর পূর্ব দেশগুলির মধ্যে হতে কোন একটি দেশ হতে আমার উম্মতের ভিতর হতে একটি দল বের হবে। এই দলের সদস্যগন হবে অশিক্ষিত এবং মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত। তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না। তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। তারা কুরআন শরীফ পড়বে কিন্তু তা তাদের গলার নিচে যাবে না। তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না। এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।""
দলীল-
√ ফতহুল বারী ১২ তম খন্ড ৩৫০ পৃষ্ঠা ।
√ মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা ।
এবং মজার বিষয় উল্লেখ্য হাদীস শরীফ খানা বাংলাদেশের দেওবন্দী দের অন্যতম শায়খুল হদস মৃত আজিজুল হক তার মাসিক পত্রিকা " রহমানী পয়গাম" এপ্রিল/২০০৩ সংখ্যার ১২৪৭ নং জিজ্ঞাসা-জবাবে সহীহ বলে উল্লেখ করছে।
এখন জানার বিষয় হচ্ছে উল্লিখিত হাদীস শরীফে বর্নিত আলামত বা লক্ষন সমূহ তাবলিগীদের মধ্যে আছে কিনা ?
এর জবাবে বলতে হয়- উল্লিখিত হাদীস শরীফে খারেজী ফির্কার যতগুলা লক্ষন বর্নিত আছে তার সবগুলাই তাবলীগ জামাতের মধ্যে বিরাজমান। আসুন আমরা বিশ্লেষণ করে দেখি-
প্রথমত বলা হয়েছে, " পূর্ব দেশ গুলির মধ্য হতে কোন একটি দেশ থেকে আমার উম্মতের ভিতর থেকে একটি দল বের হবে। "
→ দেখুন, প্রচলিত এই ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা স্বপ্নেপ্রাপ্ত তাবলিগ এর উৎপত্তি পূর্ব দেশ থেকে । অর্থাৎ ১৩৪৫ হিজরী সনে পূর্ব দেশ ভারতের মৌলবী ইলিয়াস মেওয়াতী 'তাবলীগ জামাত' নামক এই ছয় উছুলী তাবলিগ প্রবর্তন করে। বর্তমানেও ভারতের নিজামুদ্দিন বস্তিতে তাদের মূল মারকায বা ঘাটি রয়েছে । সূতরাং দিবালোকের মত প্রমান হলো যে, প্রচলিত ছয় উছুলী চিল্লাওয়ালা তাবলিগ জামাত নামক দলটি পূর্ব দেশ থেকেই বের হয়েছে ।
দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, " এই দলের সদস্য গন হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ। এদের মধ্যে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও হয়ে যাবে মূর্খের মত।"
→ দেখুন, এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলিগীদের অধিকাংশ সদস্যই হচ্ছে মূর্খ। এদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতী তার মলফুজাতে মূর্খ শ্রেণীর লোক দ্বারা দল ভারী করার কথা বলে গিয়েছে। আর মজার ব্যাপার এদের দলে কোন শিক্ষিত লোক গেলে সেও ধীরে ধীরে মূর্খে পরিনত হয়। এরা ফাজায়েলে আমল ব্যতীত অন্য কোন কিতাব দেখতেও চায় না,পড়তেও চায় না। এবং ছয় উছুলের বাইরে অন্যকিছু তারা আলোচনাও করে না। তাই কোন শিক্ষিত লোক সেখানে গেলে পূর্ন ইলিম চর্চার অভাবে মূর্খে পরিনত হয়। আর সবচেয়ে মজার বিষয় এই চিল্লাওয়ালা তাবলিগিরা আলিমদের চাইতে মূর্খদের বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
যা তাদের মুরুব্বী দের বক্তব্য
দ্বারা প্রমানিত।
যেমন- তাবলীগিদের বিশিষ্ট
মুরুব্বী ইসমাঈল হোসেন
দেওবন্দী তার কিতাবে লিখেছে--
"অনেক স্থলে নবীগন পর্যন্ত
হিদায়েতে বিরাট সংকটে ও
বিপদে পড়িয়াছিলেন,তাই
অনেক স্থানে বিরাটলআলেমও ফেল পড়িতেছে। কিন্তু মূর্খগন তথায় দ্বীন জয় করিতেছে।"
দলীল-
√তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু
দায়িত্ব ১১৬ পৃষ্ঠা ।
সবাই একটু লক্ষ্য করুন তাবলীগ
মৌলবী নিজেই স্বীকার করলো তাবলীগি দের অধিকাংশ মূর্খ। কারন তার কিতাবে মূর্খগন
দ্বারা তাবলীগিদের বুঝিয়েছে।
শুধু তাই নয়, তাবলীগি দের
কিতাবে আরো আছে--
" মূর্খ লোক আমীর হওয়ার জন্য তিন চিল্লা যথেষ্ট । আর আলেম
দের জন্য প্রয়োজন সাত চিল্লা।"
দলীল-
√ তের দফা ৭ পৃষ্ঠা ।
তারা আরো বলে থাকে-
"দ্বীন প্রচার শুধু আলেম দের
মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে দ্বীন ধ্বংস
হয়ে যেত এবং যাবে। অর্থাৎ জাহেল লোক তাবলিগ করার কারনে দ্বন টিকে ছিলো এবং ভবিষ্যতেও টিকে থাকবে। "
দলীল-
√ তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ও উহার সদুত্তর ৯৫ পৃষ্ঠা ।
মূল : শা : আ: জাকারিয়া। অনুবাদ- মুহিববুর রহমান আহমদ।
এবার আপনারাই বিচার করুন
হাদীস শরীফে বর্নিত দ্বিতীয় লক্ষল
মিলে গেলো কিনা??
তৃতীয়ত বলা হয়েছে, " তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের। তাদের মত বক্তৃতা বা বয়ান কারো হবে না।"
→ এ কথা সারা দুনিয়াবাসীর জানা যে, প্রচলিত এই চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা তাদের বয়ানে শুধু ফজিলতের কথাই বলে। তাদের প্রতিটা সদস্যদের একটাই বুলি- " দ্বীনের রাস্তায় সময় লাগান, বহু ফায়দা হবে, তিন চিল্লা মারেন বহু ফায়দা হবে, গাস্ত করেন বহু ফায়দা হবে!!!""
এই বহু ফায়াদা হবে এটা তাবলীগিদের একটা কমন ডায়ালগ। সেটাই কিন্তু হাদীস শরীফে বলা হয়েছে- তাদের বক্তৃতা হবে বহুগুনের ফযীলতের বা ফায়দার।"
যেমন কিরকম ফযীলতের কথা এরা বলে একটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন। এরা সাধারণ মানুষকে মসজিদে ডেকে নিয়ে বুঝায়- " গাশত কারীরা যে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় সে রাস্তায় যে ঘাস হয়, সে ঘাস যে গরু খায়, সে গরুর দুধ বা গোশত যারা খাবে তারাও বেহেশতে যাবে, এতো ফায়দা হবে।"
তাদের বক্তব্যে আরো শোনা গেছে- " কিছু সময় গাশতে বের হওয়া শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে হাজরে আসওয়াদকে সামনে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চাইতেও উত্তম।"
এবার চিন্তা করুন, হাদীস শরীফে বর্নিত লক্ষম এদের মধ্যে পাওয়া যায় কিনা।
আর এসকল কথার সত্যতা তাদের মুরুব্বী দের কিতাবেই পাওয়া যায়।
তাবলীগ জামায়াত এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতি তার মালফুযাতে লিখেছে-
" ফাযায়েলের মর্যাদা মাসায়েলের চাইতে বেশি।"
দলীল-
√ মলফুযাত ১২৮ পৃষ্ঠা ২০১ নং মালফুজ।
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০১ পৃষ্ঠা ।
তাদের অন্যতম মুরুব্বী মাওলানা নোমান আহমদ লিখেছে-
" সারা বছর প্রতি মাসে তিন দিন করে লাগালে পুরা বছর আল্লাহর রাস্তায় কাটানো হয়েছে বলে গন্য হবে। কারন প্রতি নেক কাজে দশগুন সাওয়াব হিসেবে একদিনের কাজে ত্রিশ দিনের সাওয়াব পাওয়া যাবে।"
দলীল-
√ হযরতজীর কয়েকটি স্মরনীয় বয়ান ১৩ পৃষ্ঠা ।
তারা ফায়দার কথা বলতে গিয়ে আরো বলে-
" প্রচলিত তাবলীগ হচ্ছে নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। তাতে যার উঠলো তারা নাজাত পেয়ে গেলো।"
দলীল-
√ তাবলীগ কা মুকিম কাম ৩৯ পৃষ্ঠা ।
সূতরাং উপরোক্ত বিষয় গুলা থেকে এটাও প্রমান হলো, তারা ফযীলতের কথা বেশি বলে ।
শুধু তাই নয়, এরা ফযীলত নিয়ে একের পর এক কিতাবও লিখে, যেমন- ফাযায়েলে আমল, ফাযায়েলে ছদাকাত, ফাযায়েলে তাবলীগ ইত্যাদি আরো অনেক।
সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত তৃতীয় লক্ষনও এদের মধ্যে পূর্নমাত্রায় বিরাজমান এটা প্রমান হলো।
চতুর্থত যেটা বলা হয়েছে, " তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। "
→ এরা জবাবে বলতে হয়, আপনারা একটু ভালো করে এদের আমল গুলা খেয়াল করবেন। দেখবে লোকদেখানোর জন্য এমন ভাবে নামাজ পড়তেছে যে, সিজদায় গেলে যেনো আর উঠতেই চায় না, রুরুতে গেলে আর উঠতেই চায় না..... সাধারন পাবলিক তখন ভাবে, আহা ! কতই না উত্তম ভাবে নামাজ পড়তেছে। এদের প্রায় সবার কপালে কালো দাগ হয়ে গেছে। এরা বুঝাতে চায় তারা এতো নামাজ পড়ে যে কপালে দাগ পরে যায়। ( মূলত সঠিক ভাবে নামাজ পড়লে ওই রকম দাগ কোন দিনও হবে না, এরা এই দাগ মাটিতে কপাল ঘষে বানায়।) এবং এরা লোক দেখানোর জন্য এবং দলে ভিরানোর জন্য এরা এমন বিনয় প্রদর্শন করে, মানুষ মনে করে না জানি এরা কত ভালো।
আর এথায় হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-" তাদের সকল আমলগুলা হবে খুবই নিখুত ও সুন্দর । তাদের নামাজের তুলনায় তোমাদের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে,তাদের রোজা দেখে তোমরা তোমাদের রোজাকে তুচ্ছ ও নগন্য মনে করবে । তাদের আমল দেখে তোমাদের আমলকে হেয় মনে করবে। "
সূতরাং হাদীস থেকে খারেজীদের চতুর্থ লক্ষন তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান প্রমান হলো।
পঞ্চমত বলা হয়েছে--" তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।'"
→ এর প্রমানও এদের মধ্যে বিদ্যমান । এরা কুরআন শরীফের কোন হুকুম প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাই করে না। এদের একটাই কাজ সেটা হচ্ছে, গাট্টিবস্তা নিয়ে মসজিদে মসজিদে ঘোরা ফেরা করা আর মসজিদের মুসল্লিদের দাওয়াত দেয়া। অথচ অসংখ্য বেনামাজি আছে, সুদ খোর আছে, দূর্নিতিবাজ আছে এদের বুঝাইতে যায় না। এরা নিজেরাই হারাম নাজায়িয কাজে মশগুল।
শুধু তাই নয়, দুনিয়াতে খিলাফত কায়েম হোক এ ব্যাপারে তাদের কোন প্রচেষ্টা নেই। বরং খিলফতের ব্যাপারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করে।
যেমন তাদের কিতাবে বর্নিত আছে--
" প্রচলিত তাবলিগ জামায়ে জিহাদ পূর্নমাত্রায় বিদ্যমান বা ছয় উছুলী তাবলীগ হচ্ছে জিহাদে আকবর!"
দলীল-
√ তাবলীগে দাওয়াত কি এবং কেন ৭৫ পৃষ্ঠা
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১০৯ পৃষ্ঠা ।
√ তাবলীগ জামায়াতের সমালোচনা ও তার জবাব ৮৮ পৃষ্ঠা ।
অর্থাৎ এই মসজিদে মসজিদে পিকনিক করাকে তারা জিহাদে আকবর বলে। এভাবে ইসলাম কায়েমের দিক থেকে কৌশলে তারা মানুষকে সরিয়ে দিচ্ছে।
আর তাছাড়া তাদের নেসাব ছাড়া তারা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফের কোন আলোচনাই করে না।
সূতরাং হাদীস শরীফে বর্নিত- "
তারা কুরআনের উপর আমল বা কুরআন প্রতিষ্ঠার কোন চেষ্টাও করবে না।" এই লক্ষনও তাবলীগ জামায়াতের মাঝে বিদ্যমান সেটা প্রমান হলো।
পরিশেষে হাদীস শরীফে বলা হয়েছে-" এদের আমল তোমাদের যতই আকৃষ্ট করুক না কেন,কখনোই এদের দলে যাবে না।
কারন প্রকৃতপক্ষে এরা ইসলাম থেকে খারীজ, দ্বীন হতে বহির্ভূত । তীর যেমন ধনুক হতে বের হয়ে যায়,সে আর কখনো ধনুকের নিকট ফিরে আসে না।
তেমনি এরা দ্বীন থেকে বেরিয়ে যাবে,আর কখনো দ্বীনের পথে ,কুরআন সুন্নাহর পথে ফিরে আসবে না।""
অর্থাৎ এরা দিন ইসলাম থেকে খারীজ হয়ে গিয়েছে, চিরতরে পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদের দলে বা এদের ডাকে সাড়া না দেওয়ার কথা হাদীস শরীফে কঠোর ভাবে বলা হয়েছে ।
উপরোক্ত হাদীস শরীফে বর্নিত খারেজীদের যাবতীয় লক্ষন চিল্লাওয়ালা তাবলীগিদের মধ্যে বিরাজমান স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত হলো।
এই প্রচলিত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরাই হচ্ছে হাদীস শরীফে বর্নিত জাহান্নামী মুরতাদ খারেজী ফির্কা।
(৩) এরপর তৃতীয়ত যেটা বলা হয়েছে, এরা সুন্নতী বাবরী চুল না রেখে সর্বদা মাথা ন্যাড়া বা মুন্ডন করবে। এটা খুবই মজার ব্যাপার এটা যাচাই করতে আপনারা ঢাকা কাকরাইল আসেন, দেখবেন ন্যাড়া মাথার অনেক খারেজী ঘোড়াফেরা করতেছে। এবং আমি নিজেও অসংখ্য বার তাবলিগী দের সেলুনে মাথা মুন্ডন করতে দেখেছি।
বাংলাদেশের তাবলিগী খারেজীদের অন্যতম মৃত শায়খুল হদস আজিজুল হক এর "রহমানী পয়গাম" এবং হাটহাজারীর আহম্মক শফীর "মাসিক মঈনুল ইসলাম" পত্রিকায় যতবার চুল রাখা সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছে ততবার এরা উত্তর লিখেছে, মাথা মুন্ডন কারা সুন্নত!"
দলীল-
√ মঈনুল ইসলাম মার্চ/২০০২ সংখ্যা।
অথচ সিয়া ছিত্তার হাদীসে শতশত হাদীস শরীফ আছে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাবরী চুল রাখতেন।
কিতাবে বর্নিত আছে--
ان المصطفي كان لايحلق شعره لغير نسك
অর্থ: প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজ্ব ব্যাতীত অন্য কোন সময় উনার মাথা মুন্ডন করেন নাই।"
দলীল-
√ জামিউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়িল ১/৯৯
ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৯ম খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠায় আছে-" মাথা মুন্ডন সুন্নত নয়।"
অথচ এই তাবলিগীরা মাথা মুন্ডন করে চকচকে করে রাখে। কারন মাথা মুন্ডন করাই হচ্ছে খারেজীদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ।
স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খারেজীদের লক্ষন বর্ননা করে বলেন--
سيما هم التحليق
অর্থ: মাথা মুন্ডন হচ্ছে এদের বিশেষ চিহ্ন ।"
দলীল-
√ মিশকাত শরীফ কিতাবুল কিসাস
সূতরাং খারেজীদের অন্যতম লক্ষন বা বৈশিষ্ট্য মাথা মুন্ডন বা ন্যাড়া করা তাবলিগীদের মাঝে বিদ্যমান । অতএব এ তৃতীয় বৈশিষ্ট্যও প্রমানিত হলো।
(৪) চতুর্থত যে বৈশিষ্ট্য, অধিকাংশ লোক নির্বোধ, মূর্খ, জাহিল হওয়া। এবিষয়ে এই নোটের প্রথম হাদীস শরীফের বিশ্লেষণে দলীল দেয়া হয়েছে । ওইখানে দেখুন....
(৫) পঞ্চমত যেটা বলা হয়েছে, এদের বক্তব্য হবে বহুগুনের ফযীলতে বা চমকপ্রদ। এ বিষয়েও এই নোটে প্রথম হাদীস শরীফের বিশ্লেষণে দলীল দিয়ে প্রমান করা হয়েছে । সেখানে আবার দেখুন.......
(৬) ষষ্ঠত যেটা বলা হয়েছে, এরা নিজেদের ব্যতীত অন্য সবাইকে কাফির মনে করবে। খারেজীদের মত চিল্লাওয়ালা তাবলীগিরা নিজেদের ব্যতীত সবাইকে অমুসলিম মনে করে। এদের ধরনা শুধু এরাই মুসলিম আর সবাই কাফির।
এর প্রমান স্বয়ং তাবলিগীদের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস মেওয়াতির মালফুজাতে আছে। সে লিখেছে-
" মুসলমান দুই প্রকার। একদল তাবলীগের জন্য হিজরত করবে । দ্বিতীয় দল নুছরত বা সাহায্য করবে। এ দু'দলই মুসলমান ।"
দলীল-
√ মালফুজাত ৪৩ পৃষ্ঠা ৪২ নং মালফুজ।
√ দাওয়াত ও তাবলীগ কি ও কেন ২১ পৃষ্ঠা ।
√ হযরতজীর কয়েকটি সম্মরনীয় বয়ান ২/১১
√ তাবলীগ গোটা উম্মতের গুরু দায়িত্ব ১৭৪ পৃষ্ঠা ।
উক্ত তাবলীগ প্রতিষ্ঠাতা স্পষ্ট বলেই দিলো, যারা তার স্বপ্নে পাওয়া তাবলীগি করবে এবং একাজে সাহায্য করবে তারাই মুসলমান। আর যারা করবে না তারা মুসলমান না।
শুধু তাই নয়, তাবলীগ গুরু আম্বর আলী লিখেছে-
" ছয় উছুল ভিত্তিক এবং তরতীব মোতাবেক সকল স্থানের সকল লোককে দাওয়াত দেয়া ফরজ বা জরুরী এবং এ দাওয়াত না দেওয়ার কারনে যারা ঈমানহারা হয়ে মারা যাবে, তাদের জন্য যারা দাওয়াতের কাজ করবে না অথবা জড়িত থাকবে না, তাদেরকে আল্লাহ পাকের কাছে জবাবদীহি করতে হবে এবং তারা পাকড়াও হবে।"
দলীল-
√ দাওয়াতে তাবলীগ ৪৯ পৃষ্ঠা ।
উক্ত দলীল থেকে দেখা যাচ্ছে, তাদের ভাষ্যমতে যারা তাদের স্বপ্নে প্রাপ্ত চিল্লাওয়ালা ছয় উছুলী তাবলীগ করবে না তারা ঈমানহারা হবে, জাহান্নামী হবে , মুসলমান হতে পারবেনা ইত্যাদি ।
আর এরকম আক্বীদা একমাত্র খারেজী ফির্কাই পোষন করে।
খারেজীরাই বলে থাকে তাদের দলভুক্ত না হলে সবাই কাফির। এবিষয়টি আমরা তাবলীগিদের মধ্যেও দেখতে পেলাম।
সম্মানিত মুসলমান ভাই ও বোনেরা, আমরা অত্যম্ত সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ দিয়ে বুঝতে পারলাম খারেজী ফির্কা সংক্রান্ত যে হাদীস শরীফ বর্নিত হয়েছে, সেখানে খারেজীদের যে লক্ষন বলা হয়েছে সে লক্ষন সমূহ প্রচলিত ছয় উছুলী তাবলীগ জামায়াতের মধ্যে পরিপূর্ণ বিদ্যমান রয়েছে । আর খারেজীদের কাফির হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত।
এবং এই খারেজীদের ব্যাপারে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন--->>
لءن ادر كتهم لا قتلنهم قتل عاد
অর্থ: যদি আমি তাদের পেতাম, আদ গোত্রের মত হত্যা করতাম।"
দলীল-
√ মিশকাত শরীফ- মুজিজা অধ্যায়- ১ম পরিচ্ছেদ ।
এবার চিন্তা করুন কত কঠোর বানী উচ্চির হয়েছে খারেজীদের ব্যাপারে। তাবলীগিরা যেহেতু খারেজী তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য, এই তাবলিগীদের প্রতিহত করা, এদের সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করা, সালাম না দেয়া, সালামের জবাব না দেয়া, ছেলে-মেয়ে বিয়ে শাদী না দেয়া, এদের সাথে খাদ্য না খাওয়া,মারা গেলে জানাজা না পড়া, মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করতে না দেয়া।প্রায় শতবছর পূর্বে পবিত্র ইসলামের নামে ঈমান হরণকারী এক বাতেল ফেরকার জন্ম দেয় দিল্লির ইলিয়াছ মেওয়াতী । ইলিয়াছ মেওয়াতী হজরত নিজামুদ্দিন (রহঃ) পবিত্র মাজার শরীফের সন্নিকটে মসজিদ থেকে কার্যক্রম শুরু করে, এটাকে মেওয়াতী তবলীগের মারকাজ বলা হয় । ইলিয়াছ মেওয়াতীর ছেলে হারুন মেওয়াতী। তারই ছেলে হলেন বিতর্কিত সাদ কান্ধলভী।
দিল্লির মারকাজের বর্তমান মুরব্বী সাদ কান্ধলভী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবী-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য টঙ্গীতে আসন্ন বিশ্ব ইস্তেঞ্জায় যোগদান করার জন্য বুধবার দুপুর ১ টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছায় ভারতের ইলিয়াছ মেওয়াতীর দৌহিত্র সাদ কান্ধলভী ।
এদিকে সাদ কান্ধলভীর আগমন ঠেকাতে বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ করেছে জঙ্গী মদদ দাতা হেফাজতপন্থী কওমি অনুসারীরা ।
দিল্লির মারকাজের বর্তমান মুরব্বী সাদ কান্ধলভী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কুরআন, হাদিস, ইসলাম, নবি-রাসুল ও নবুয়ত এবং মাসআলা-মাসায়েল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। যা কওমী অনুসারীদের অন্তরেও আঘাত লাগে ।
সাদ কান্ধলভীর আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ সোচ্চার হয়েছেন । তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যগুলো ‘সা’আদ সাহেবের আসল রূপ’ নামে একটি ছোট্ট বই আকারে প্রকাশ করেছেন জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস, মেওয়াতী তবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বী এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে ভারত সফরকারী ৫ সদস্যের অন্যতম উবায়দুল্লাহ ফারুক।
তাঁর লিখিত ‘ সাদ কান্ধলভীর আপত্তিকর’ কুরআন-হাদিস বিরোধী বক্তব্যগুলো তুলে ধরা হলো-
ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা:-
ভোটের সময় চিহ্ন হিসাবে (আঙুলে) যে রং লাগানো হয়, তার কারণে নামাজ হয় না। তাই ভোট না দেয়া উচিত।
কুরআন শরীফের ভুল ব্যাখ্যা:-
বিভিন্ন আয়াতে তিনি বলেন, মুফাসসিরিন এই আয়াতের কোনো এক তাফসির করেছেন, ওলামা কোনো এক তাফসির করে থাকেন, কিন্তু আমি এই তাফসির করে থাকি। এটা শুনো। এটাই সঠিক তাফসির!
ইসলাম ও ওলামাদের বিরোধীতা:-
ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখা হারাম এবং পকেটে ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রেখে নামাজ হয় না। যে আলেমগণ ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখাকে ‘জায়েজ’ বলেন, তারা ‘ওলামায়ে ছু’। বার বার কসম খেয়ে তিনি বলেন, তারা হলো ‘ওলামায়ে ছু’। এমন আলেমরা হলো গাধা! গাধা! গাধা!
জাহেলি ফতোয়া:-
মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া এবং শোনা; প্রস্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মতো! (নাউজুবিল্লাহ)
মাদরাসা মসজিদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ
যারা কুরআন শরিফ শিখিয়ে বেতন গ্রহণ করেন, তাদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়েও খারাপ। যে ইমাম এবং শিক্ষক বেতন গ্রহণ করেন, বেশ্যারা তাদের আগে জান্নাতে যাবে!
কাওমি মাদরাসা বন্ধ করার চেষ্টা:-
মাদরাসাগুলোতে জাকাত না দেয়া হোক। মাদরাসায় জাকাত দিলে জাকাত আদায় হবে না।
আওলিয়াদের সঙ্গে শত্রুতা:-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর কেবল তিনজন লোকের ‘বাইআত’ পূর্ণতা পেয়েছে। আর বাকি সবার বাইআত অপূর্ণ। সেই ৩ জন হলেন- শাহ ইসমাঈল শহীদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস এবং মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ।
সুন্নাত সম্পর্কে জাহেলি মন্তব্য:-
সাদ কান্ধলভী আযমগড়ের ইস্তেঞ্জায় এবং অন্যান্য ইস্তেঞ্জায় একাধিকবার সুন্নাতকে ‘৩ প্রকার’ বলে বর্ণনা করেছেন- ইবাদতের সুন্নাত, দাওয়াতের সুন্নাত এবং আচার-অভ্যাসের সুন্নাত।
নবী রাসুলগণের বিরোধিতা:-
‘দাওয়াতের পথ’ হলো নবির পথ, ‘তাসাউফের পথ’ নবির পথ না।
ভ্রান্ত আকিদা:-
আজান হলো ‘তাশকিল’ (প্ল্যান-পরিকল্পনা)। নামাজ হলো ‘তারগীব’ (পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ)। আর নামাজের পর আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া হলো ‘তারতীব’ (পরিকল্পনার মূল বাস্তবায়ন)।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাওয়াত ইলাল্লাহর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইশার নামাজকে পর্যন্ত বিলম্ব করে পড়েছেন। অর্থাৎ নামাজের চেয়ে দাওয়াতের গুরুত্ব বেশি।
হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম ‘তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বল’ বলে গাইরুল্লাহর দিকে দৃষ্টি দেয়ার কারণে তাকে অতিরিক্ত ৭ বছর জেলখানায় থাকতে হয়েছে।
হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহকে ছেড়ে গাছের কাছে আশ্রয় চাইলেন। ফলে শাস্তি ভোগ করতে হলো। মুজিজার সম্পর্ক কেবল দাওয়াতের সঙ্গে। নবুয়াতের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম থেকে বড় এক ভুল হয়ে গেছে এবং তিনি এক অপরাধ করে ফেলেছেন- জামাআত এবং কাওমকে ছেড়ে তিনি আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের জন্য ‘নির্জনতা’ অবলম্বন করেছেন।
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম কর্তৃক হজরত হারুন আলাইহিস সালামকে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানোও অনুচিৎ কাজ হয়েছে।
হেদায়েতের সম্পর্ক যদি আল্লাহর হাতে হতো; তাহলে তিনি নবি পাঠাতেন না।
কুরআন শরীফ বুঝে-শুনে তেলাওয়াত করা ওয়াজিব। তরজমা না জেনে তেলাওয়াত করলে তরকে ওয়াজিবের গোনাহ হবে।
আপনাদের কাছে সবচাইতে বড় গোনাহ- চুরি, যিনা। ঠিকই এটা বড় গোনাহ; তবে তার চাইতে বড় গোনাহ হলো খুরুজ না হওয়া। তাই হজরত কা’ব ইবনে মালেকের সঙ্গে ৫০ দিন পর্যন্ত কথাবার্তা বন্ধ রাখা হয়।
জিকিরের অর্থ আল্লাহ আল্লাহ বা অন্যান্য তাসবিহ পড়া নয়; জিকিরের আসল অর্থ আল্লাহর আলোচনা করা।
আল্লাহ তাআলার হুকুমের সমালোচনা
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে (আল্লাহর হুকুমে) কিতাব আনতে চলে গেছেন। দাওয়াত ছেড়ে (কিতাব আনতে) চলে যাওয়ার কারণে ৫ লাখ ৭৭ হাজার লোক মুরতাদ হয়ে গেল।
মেওয়াতী তাবলিগের নতুন ধারা:-
আমাদের কাজের সঙ্গে লেগে থাকা সাথীরাই কেবল ইলিয়াস মেওয়াতী এবং ইউসুফের মালফুজাতই পড়বে। এগুলো ছাড়া (ফাজায়েলে আমল ও ফাজায়েলে সাদাকাতসহ) অন্য কিতাবাদি পড়বে না।
জিকিরের অস্বীকার:-
সকাল-সকাল কুরআন তেলাওয়াত করা এবং নফল নামাজ পড়ার তো একটা অর্থ বুঝে আসে। কিন্তু আল্লাহ আল্লাহ বলে জিকির করে কী অর্জন হয়? কিছুই অর্জন হয় না!
এই এক তাবলিগই নবুয়তের কাজ। এ ছাড়া দ্বীনের যত কাজ আছে- দ্বীনি ইলম শিখানো, দ্বীনি ইলম শেখা, আত্মশুদ্ধি, কিতাবাদি রচনা করা কোনোটাই নবুয়তের কাজ না।
মাদরাসার উস্তাদরা বেতন নেয়ার কারণে দুনিয়াবি ধান্দায় জড়িয়ে আছে। এ কারণে দ্বীনের খেদমতের জন্যও তাদের কিছু সময় দেয়া উচিৎ।
আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ:-
কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বান্দাকে জিজ্ঞাসা করবেন, তা’লিমে বসেছিলে কি না? গাশ্ত করেছিলে কি না?
সাহাবায়ে কেরামের ওপর মিথ্যা অপবাদ:-
প্রত্যেক সাহাবী অপর সাহাবীর বিরুদ্ধাচরণই করেছেন।
উল্লেখিত কুরআন-হাদিস বহির্ভূত আলোচনার জন্য ওলামায়ে দেওবন্দসহ বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম আলেমগণ তাঁকে ক্ষমা চাওয়া এবং তাওবার আহ্বান জানায়
এসব গোমরাহী কথা-বার্তার অডিও রেকর্ড দারুল উলুম দেওবন্দে সংরক্ষিত আছে।
সাদ কান্ধলভী তাঁর দাদাজান ইলিয়াস মেওয়াতীসহ আকাবির আলেমদের মেহনতে তৈরি দাওয়াত ও তাবলিগের ময়দানে ভক্তি দেখিয়ে আম মানুষের জনপ্রিয়তা লাভ করেন। কিন্তু যুবায়রুল হাসান এর ইন্তেকালের পর পরই সাদ কান্ধলভী তার এ বিতর্কিত-আপত্তিকর মন্তব্য ও বক্তব্য তুলে ধরে আসল রূপে নিজেকে প্রকাশ করে ।
এইটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ফতোয়া।
আল্লাহ পাক আমাদের এই খারেজী তাবলীগি ফির্কা থেকে হিফাজত করুন।
আমীন !!!!
Comments
Post a Comment