Posts

Showing posts from 2021

মীলাদুন্নবী (ﷺ). সম্পর্কে যৌক্তিক দালালিক বিশ্লেষণ।

Image
মী লাদুন্নবী (ﷺ). এর আলোচনা কি পবিত্র কুরআনে আছে?? ➖➖➖➖ উত্তরঃ সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ বা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ে একটু তাত্ত্বিক বিশ্লেষন মহান আল্লাহ পাক বলেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনি বলে দিন, আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম।” (পবিত্র সূরা ইউনূছ আলাইহিস সালাম : আয়াত শরীফ ৫৮) আমরা মু’মিন মুসলমান, নবীজীর আশেকগন এই আয়াত শরীফে “অনুগ্রহ ও রহমত’ বলতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝে থাকি। বাতিল ফির্কা তখন দলীল দেয় অনেক মুফাসসিরতো এই আয়াতে “অনুগ্রহ ও রহমত” বলতে ১) কুরআন শরীফ ২) ইসলাম ৩) ইলিম ৪) হেদায়েত ৫) নেক আমল ইত্যাদি বুঝিয়েছেন (যদিও শক্ত দলীল দ্বারা হুযুর পাক (ﷺ)কে বুঝানো হয়েছে) হ্যাঁ, ভালো কথা। কোন সমস্যা নাই। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, যদি অনুগ্রহ ও রহমত এর অর্থ কুরআন শরীফ ধরা হয় তবে কুরআন শরীফ পাওয়ার কারনে খুশি প্রকাশ করতে হবে। কারন কুরআন শরীফ আল্লাহ পাকের নিয়ামত। যদি ইসলাম, ইলিম, হেদায়...

১২ রবিউল আউয়াল?

Image
  মুফতি বোরহান উদ্দিন মুহাম্মদ শফিউল বশর মাঃ জিঃ ১২ রবিউল আওয়াল ঈদে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর আনন্দ উদযাপনের বিরুদ্ধে একটি পক্ষ একই দিন নবীর বিছালও বলে জোর প্রচারণা চালায়। ওই দিন আনন্দের পরিবর্তে শোক প্রকাশ যৌক্তিক বলে মতও ব্যক্ত করে থাকেন। আনন্দ নাকি শোক? কোনটা যৌক্তিক, সেই বিতর্ক তোলা রইল। সেই দিন আগমন নাকি গমন, সেটি আজকের আলোচ্য। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর ধরাধামে শুভাগমন পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের মতৈক্যে ১২ রবিউল আওয়াল হস্তির বছর। জ্যোতির্বিজ্ঞানী  মাহমূদ পাশা ও পরবর্তী অন্যান্য কতেক গবেষকের গবেষণা মতে ৯ রবিউল আওয়ালের উল্লেখও রয়েছে। অধিকন্তু প্রাচীন কাল থেকেই ইসলামী বিশ্বের মতৈক্য ১২ তারিখের ওপর। সুতরাং এটিই গ্রহণযোগ্য উক্তি। এ ধারাবাহিকতায় কয়েকটি ঐতিহাসিক উদ্ধৃতির উল্লেখ করছি। ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم الاثنين عام الفيل لإثنىٰ عشرة ليلة مضت من شهر ربيع الأول - অর্থাৎ "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর শুভাবির্ভাব হস্তির বছরের ১২ রবিউল আওয়াল সোমবারের দিন হয়েছে"। সূত্র: আল্ওয়াফা ৮৭ পৃষ্ঠা, ইবনে ...

ইমামে আহলে সুন্নাত, আল্লামা গাজী সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) জীবন দর্শন।

Image
 ইমামে আহলে সুন্নাত, আল্লামা গাজী সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) জীবন দর্শন।  --------------মোহাম্মদ সুফি ওসমান গনি  বা র আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানার অন্তর্গত মেখল নামক গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে  ১৩২৩ হিজরী, ১৩১৩ বাংলা এবং ১৯০৬ ইংরেজীতে এক শুভ মুহূর্তে মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত, ইমামে আহলে সুন্নাত, আল্লামা গাজী সৈয়দ মুহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা (রহ.) জম্মগ্রহণ করেন। কারামতে গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ক. ও গাউছুল আযম মাওলায়ে রহমান বাবাভান্ডারী ক. হুযুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ক.'র দোয়ার বরকত নেক সন্তান লাভ এবং আশেকে রাসুল ﷺ'র জন্মের(শেরে বাংলা রহ.) ভবিষ্যতবাণী! কারামত নং- ০৭ হযরত আমিনুল হক ফরহাদাবাদী রহ. বলেন:            হযরত আজিজুল হক শেরে বাংলা রহ.'র পিতা যখনই অসুস্থ হতেন, তখন হুযুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ক.'র দরবারে দোয়ার দরখাস্ত নিয়ে হাজির হতেন এবং সেখানে কিছুদিন অবস্থান করতেন, শেরে বাংলা রহ.'র পিতার ভাষ্যমতে যখন হুযুর গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী ক. তাকে দেখতেন, তখন উনার ঠোঁটের কোণে এক রহস্যময় ...

হযরত শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ বজলুল করিম মন্দাকিনী (রহঃ) জীবন দর্পন।

Image
 বাহারুল উলুম মুফতিয়ে আজম ইমামে আলা হযরত হযরত শাহসূফী মাওলানা সৈয়দ বজলুল করিম মন্দাকিনী (রহঃ) জীবন দর্পন। মাইজভাণ্ডারী দর্শন ইসলাম তথা সুফিবাদের কৃষ্টি সভ্যতার অংশ বিশেষ। মাইজভাণ্ডারী দর্শনের কথা উঠতেই সর্বপ্রথম উঠে আসে এ দর্শনে রয়েছে ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলের উন্মুক্ত প্রবেশাধিকার। আল্লাহ পাক স্বয়ং অসাম্প্রদায়িক৷ তাই এই মহান দর্শনেও ধর্মের কোন বাচ বিচার নেই। সকল ধর্মের সকল গোত্রের লোকের জন্য এই মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ও দর্শন পীঠস্থানে পরিনত হয়েছে। বাংলার জমিনে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা হিসেবেও সর্বমহলে এর গ্রহনযোগ্যতা ব্যাপক। অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনার জন্য এবং ধর্মের সত্তিকার স্বরুপ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বত্রানকর্তৃত্ব সম্পন্ন গাউসুল আযম রুপে হুজুর গাউসুল আযম মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী এ ধরাধামে আবির্ভূত হন। মানব সমাজকে ঐশী প্রেমের আলোয় আলোকিত করতে সৃষ্টি করেন পবিত্র মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা বা মাইজভাণ্ডারী দর্শন। রুমিয়ে বাঙ্গাল, হযরত মাওলানা বজলুল করিম মন্দাকিনীর ভাষায়, “যুগে যুগে তুমি বিভিন্ন প্রদেশে, নবী অলী নামে মুনিঋষী বেশে ; ঘোর অন্ধকার হতে মানবীকে আলোকে টানিয়ে...

সুফি কবি কাজি নজরুল ইসলাম

Image
আমাদের জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলামের লেখনীর মণি মুক্তার মত উজ্জ্বল ছিলো।  ১৯৭৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।যিনি অসংখ্য হামদ্ , নাত, গজলসহ রাসূল প্রেমে বিভোর হয়ে বহু নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রচনা করেছেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’।  পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।  তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান কর...

ওয়াহ্দাতুল ওজুদ তত্ত্বের মূল দর্শন।

Image
ও য়াহদাতুল অজুদের সঠিক অর্থ হল এই যে এই বিশ্ব আসল এবং পরিপূর্ণ অস্তিত্ব কেবলমাত্র মহান আল্লাহ তাআলারই। দার্শনিক ও সুফী তত্ত্বদর্শি চিন্তার মূল বিষয় হলো ওয়াহ্দাতুল ওজুদ। ধর্মীয় দর্শনের ভাষায় ওয়াহ্দাতুল ওজুদ অর্থ সত্তার ঐক্য, ঐক্য নীতি, অদ্বৈতবাদ বা সর্বেশ্বরবাদ। ওয়াহ্দাতুল ওজুদ তত্ত্বের মূল কথা হলো সকল অস্তিত্বশীল সত্তার মূল সত্তা একই যাকে ধর্মীয় ভাষায় আমরা আল্লাহ বলি। আল্লাহ একমাত্র পরম সত্তা অর্থাৎ সব কিছুই আল্লাহ এবং আল্লাহই সব। সব কিছুই আল্লাহর অস্তিত্বেই অস্তিত্ববান। ওয়াহ্দাতুল ওজুদ তত্ত্ব অনুযায়ী এ বিশ্বজগত আল্লাহ-সত্তাময়, আল্লাহ্ ব্যতীত দ্বিতীয় কোন অস্তিত্ব নেই। হাদীসে কূদসীতে আল্লাহ বলেন, আমি গুপ্ত ভান্ডার ছিলাম। নিজেকে জানার (ও দেখার) জন্য সৃষ্টিকে প্রকাশ করলাম। এতে বুঝা যায় যে, এ বিশ্বজগত আল্লাহর নাম ও গুনের প্রকাশ এবং আল্লাহ্ ও বিশ্বজগত অভিন্ন অর্থাৎ আল্লাহ নিজেই প্রকাশিত হয়েছন বিশ্বজগত রূপে। আল্লাহ একমাত্র পরম সত্তা বা "ওয়াজেবুল ওজুদ" এবং বিশ্বজগত তাঁরই নাম ও গুনাবলীর প্রকাশ মাত্র। আল্লাহ আউয়াল আখের জাহের ও বাতেন - এ চারভাবেই বিদ্যমান। কাজেই আল্লাহ অনির্দিষ্ট আদি থ...

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি

Image
  কোনো গরুতে যদি ৭ম অংশ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া হয়, তাহলে সবার কোরবানি শুদ্ধ হবে এবং অন্য অংশের সদস্যরা ওই ভাগের গোশত খেতে পারবেন। তবে এই পদ্ধতি উত্তম নয়; এক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম হলো- সবাই মিলে একজনকে এক অংশের টাকার মালিক বানিয়ে দেবে। তখন তিনি মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানি করবেন। এতে করে এটি নিয়মসম্মত হবে এবং সবাই সওয়াবও লাভ করবেন। আরও পড়ুন :   কোরবানির টাকা দান করা যাবে কি? এই অবস্থায় মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেওয়া ভাগের গোশত কোরবানিদাতার হবে। তিনি নিজে খেতে পারবেন, সদকাও করতে পারবেন। আবার চাইলে অন্য অংশীদারদের হাদিয়াও দিতে পারবেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৮৫; বাদায়িউস সানায়ি : ০৪/২০৯; আদ-দুররুল মুখতার : ০৬/৩২৬; আল-মুহিতুল বুরহানি : ০৮/৪৭৮) মৃতের নামে দেওয়া কোরবানির পশুর গোশত খাওয়া যায়? কোনো মৃত ব্যক্তির নামে দেওয়া কোরবানির গোশত নিজেরাও খেতে পারবেন, আত্মীয়-স্বজনকেও দিতে পারবেন। তবে মৃত ব্যক্তি কোরবানি করার অসিয়ত করে গিয়ে থাকলে, সেই কোরবানি তার ত্যাজ্য সম্পদের তিন ভাগের এক ভাগ থেকে দেওয়া ওয়াজিব এবং এর গোস্ত নিজেরা খেতে পারবেন না। গরিব-মিসকিনদের মাঝে সদকা করে দিতে হবে। মৃ...

ইসলামে ধ্যান-মোরাকাবা

Image
ইসলামে ধ্যান-মোরাকাবা-মেডিটেশন ও আত্মশুদ্ধির গুরুত্বইসলাম হল সাধনা, আত্মশুদ্ধি সহ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সেবার ধর্ম। এর চিরায়ত ঐতিহ্য ও অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মুরাকাবা, তাফাক্কুর বা ধ্যান। যুগে যুগে নবী-রসূল, অলি-বুযুর্গ ও সাধকগণ এই ধ্যান-মোরাকাবা প্রক্রিয়ায় নিমগ্ন হয়ে আসছেন। হয়রত ইব্রাহীম (আঃ) এর মনে যখন প্রশ্ন জাগল কে আমার স্রষ্ট্রা তখন তিনি ধ্যান-সাধনায় নিমগ্র হলেন অবশেষে তিনি আল্লাহ পরিচয় লাভ করলেন। রাসূলুল্লাহ (স) হেরা গুহায় ১৫ বছর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। ধ্যানের স্থরে জিব্রাইল (আ.) তার কাছে ওহী নিয়ে আসেন। হযরত মুসা (আ.) সিনাই উপত্যাকায় ধ্যানরত থাকতেন। ধ্যান-মুরাকাবার গুরত্ব সম্পর্কে সূরা আলে-ইমরানের ১৯০-১৯১ আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, “নিশ্চই আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিন-রাত্রীর আবর্তনে জ্ঞানীদের জন্য নির্দেশন রয়েছে। তারা দাড়িয়ে, বসে বা শায়িত অবস্থায় আল্লাহ স্মরণ করে,তারা আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টিরহস্য নিয়ে ধ্যানে(তাফাক্কুর) নিমগ্ন হন এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালন! তুমি এসব নিরর্থক সৃষ্টি কর নি”। উক্ত আয়াতে “তাফাক্কুর” মানে হল গভীর ধ্যান,ইংরেজীতে মেডিটেশন বা কনটেমপ্লেশন। মোরাকাবা প্রসঙ্গে ...

রাসূল(ﷺ)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের ফজিলত

Image
 রাসূল(ﷺ)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের ফজিলত হুজুর পূরনুর (ﷺ)-এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারতের ফযীলত।  ★১. সাধারণত মহামান্য নবীগণের (’আলাইহিমুস সলাতু ওয়াস সালাম) সমাধিকে “রওজা শরীফ”, সম্মানিত ওলী আল্লাহগণের (রাদ্বিআল্লাহুতা’লা ’আনহুম) সমাধিকে “মাজার শরীফ” এবং সাধারণ মুসলমানের সমাধিকে আরবিতে “কবর” (قبر) বলা হয়। ফার্সী “রওজা” শব্দটি আরবি “রাওদ্বাহ” (روضة) থেকে এসেছে – যার অর্থ বাগান, তৃণভূমি, উদ্যান ইত্যাদি। আর আরবি “মাজার” (مزار) শব্দটির অর্থ জিয়ারত বা পরিদর্শনের জায়গা।মাজার একটি আরবী শব্দ,যা এখন শুধু বাংলাতেই ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ফারসী দরগাহ শব্দের প্রতিশব্দ।এর ধাতুগত অর্থ ‘যিয়ারতের স্থান’। মাজার বলতে সাধারণত আওলিয়া-দরবেশগণের সমাধিস্থলকে বুঝায়। এখন মনে একটি প্রশ্ন হতে পারে যে, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)-এর দাফনস্থল বা কবরকে রওজা বলা হয় কেন?? ভুল বুঝবেন না; বর্তমানে কিছু জালিম, মালাউন, মুনাফিক,আহলে শয়তান নবিজীর রওজামোবারক কে কবর বলতে বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছে কেননা তারা রওজা মানতে রাজি না। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন রওজা বলা হয়? মূলত রওজা শব্দের অর্থ বাগান। এখানে রওজা বা বাগান দ্বারা ...

"আল্লাহর সাথে প্রেম "

Image
(সূফীবাদে বিশ্বাসীদের জন্য) সূফীদের মতে, আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ক হচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক। মানুষ হচ্ছে প্রেমিক আর আল্লাহ হচ্ছেন প্ৰেমাস্পদ । প্ৰেমাস্পদের নিকট পৌঁছতে প্রেমিকের কষ্ট হয় । কুরআন বলে : ‘আল্লাহ পর্যন্ত পৌছতে মানুষদেরকে কষ্ট স্বীকার করতে হবে । অতঃপর তারা আল্লাহর সাথে মিলিত হতে পারবে ।” কঠোর সাধনা দ্বারা আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সূফী- সাধক ঐশী-জ্ঞান বা মারেফাত অর্জন করে । এরপর আল্লাহর সাথে মিলনের জন্য সে ব্যাকুল হয়ে পড়ে। তখন মৃত্যু এ মিলনের জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায় । মৃত্যু হলেই প্রেমিক প্ৰেমাস্পদের সাথে গিয়ে মিলিত হতে পারে । প্ৰেমাস্পদ আল্লাহর হাকীকত উপলব্ধির জন্য সাধককে পাঁচটি মোকাম বা আলমের জ্ঞানার্জন করতে হয় । এ আলমগুলো হচ্ছে : (১) আলম-ই-নাসুত (২) আলম-ই-মালাকুত (৩) আলম-ই-জাবারুত (৪) আলম-ই-লাহুত এবং (৫) আলম-ই-হাহুত”* (১) আলম-ই-নাসুত এ পার্থিব জগতকে আলম-ই-নাসুত বলা হয় । আলম-ই- আজসাম বা জড় জগত ও আলম-ই হাইওয়ান বা জীব জগত নিয়ে আলম-ই-নাসুত । এ স্তর সৃষ্টির সর্বনিম্ন স্তর । আল্লাহর আনুগত্যের প্রকৃত পরিচয় এ স্তরে ঘটে। সাধকের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এ জগতের স্বরূপ ও মর্য...

রমজানুল মুবারক

Image
রমজানুল মোবারক" রমজানের আগমনে আনন্দিত হওয়া : রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর প্রতি আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতগুলোর অন্যতম একটি। কারণ রমজান মাস হলো কোরআনের মাস। এ মাসে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। তাই এ মাসের আগমনে মনে খুশি ও আনন্দ অনুভব করা।সাওম বা রোজা পৃথিবীর প্রথম নবী হজরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু হয়ে আসছে। যার ক্রমধারা আমাদের প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে বর্তমান সময় পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। রাসূল (সা.) বলেন, রোজাদারের জন্য দুইটি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে ১. ইফতারের সময় ২. আখারাতে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়’। (বুখারী ও মুসলিম)। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়টি হলো রোজা। ইসলামি বিধান অনুসারে- মুসলিম, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, স্থায়ী ও শারীরিক-মানসিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিমের জন্য সিয়াম পালন বা রোজা রাখা ফরজ।  রোজা শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘বিরত থাকা’। আর আরবিতে এর নাম সাওম, বহুবচনে সিয়াম। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্ব প্রকার পানাহার, কামাচার, পাপাচার এবং সেই সঙ্গে যাবতীয় ভোগ-বি...